জিরো পয়েন্ট নিউজ – মৃন্ময় রায়, কোচবিহার, ৮ এপ্রিল ২০২২:
স্থানীয় কিছু শিক্ষানুরাগী উদ্যোগে মেখলিগঞ্জ ব্লকের রানীর হাটে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উদায়ন পাঠাগার। এরপর ১৯৮০ সালে সে পাঠাগারটি সরকারিভাবে অনুমোদন পায়। লাইব্রেরী জীর্ণ ঘরটি ভেঙে এরপর সেখানে নতুন করে ভবন তৈরি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পূর্বে সেখানে একজন লাইব্রেরীয়ান ছিল । কিন্তু তার অবসর গ্রহণের পর সেখানে আর নতুন করে কোন ও লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ করা হয়নি। নতুন ভবন তৈরি হলেও লাইব্রেরীয়ান ছাড়াই কিছুদিন চলার পর একেবারে বন্ধ হয়ে যায় পাঠাগারটি। নতুন করে কোন ও কমিটি তৈরি করা হয়নি বলেও সূএের খবর ।ফলে সেটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে বলে অভিযোগ।
পাঠকরা দ্রুত লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ করে সেটিকে চালুর দাবি জানিয়েছেন। পুরোনো কমিটির সদস্য দিলীপ রায় বসুনীয়া জানান, পুরোনো কমিটি ভেঙে যাওয়ার পর নতুন করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।তবে সেখানে প্রচুর পাঠক সংখ্যা ছিল ।ঠিক কি কারনে লাইব্রেরীটি চালু করা হছে না তা অঞ্জাত। এলাকার দুইপাঠক দীনবন্ধু রায় ও প্রল্হাদ হাজরা জানান পাঠাগারটি চালু হলে এখান থেকে প্রচুর সংখ্যক বইপত্র পেতে সুবিধা হবে।
ছাএ ছাএী থেকে শুরু করে যারা চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারাও এখান থেকে বইপএ নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। কারন অনেক বই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না, কিংবা অনেকর পক্ষেই বইপত্র কেনা সম্ভব হয়ে ওঠেনা । বয়স্ক নাগরিক সহ অনেক এখানে এসে বইপত্র ও সংবাদপত্র পড়ে অবসর সময় কাটাতে পারবে। লাইব্রেরীটি চালু না থাকায় দিন দিন মানুষ বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে ।তাই দ্রুত লাইব্রেরীটি চালু করতে হবে। এ বিষয়ে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল ও শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী জানিয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।