জিরো পয়েন্ট নিউজ, ১১ জুলাই ২০২২:
১০ই জুলাই ২০২২ রবিবার শান্তিনিকেতন সবুজ সংকল্প সোসাইটির উদ্যোগে ইলামবাজার চৌপাহাড়ি জঙ্গলে পালিত হলো বৃক্ষরোপণ ও বীজবপন বা আঁটি পোঁতার কর্মসূচি ৷ গাছতলায় পড়ে থাকা ফলের বীজ অথবা পাকা ফল খেযে ফেলে দেওয়া আম, জাম, কাঁঠাল, খেজুর, তেঁতুল প্রভৃতির বীজ বা আঁটি সংগ্রহ করে অভিনব উপায়ে বনভূমির ফাঁকা জায়গা পূরণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা৷ করোনা কালের লকডাউন পর্ব থেকে তাদের এই প্রয়াস। এছাড়া, ড্রেনের ধারে, ফাটা পাঁচিলে ও পোড়ো বাড়ির যত্র-তত্র জন্মানো বট, অশ্বত্থ, কদম নিম, জাম,প্রভৃতি চারা তুলে এনে বনভূমির এলাকা বাড়ানো , বন্য পশু-পাখিদের আহার ও আশ্রয়ের কথা মাথায় রেখে পরিবেশ সচেতনতা মূলক নানান কর্মসূচি পালন করে চলেছেন ৷
আর এর ফলাফলও পাচ্ছেন ৷ ১১ মাইল, বনকাটি, চৌপাহাড়ি, বল্লভপুর, আমার কুটির জঙ্গলে তাদের লাগানো অনেক চারাগাছ বেশ বড় হয়েছে ৷ এতে তাদের উদ্যোগ আরও বাড়ছে ৷ চারাগাছ পরিচর্যা, সার প্রয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারেও তাঁরা যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছেন ৷ এই কাজে পাশে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের কর্মীদের ৷ আজকের কর্মযজ্ঞে হাজির ছিলেন – ড. দেবব্রত কুনুই, শ্রী হৃদয় কুমার মেটে, সমরেশ মেটে, বিশ্বজিৎ সরকার, সুভাষ খরাতি, প্রিয়ব্রত মালিক, অনিল হাওলাদার মহাশয় ৷
চারাগাছ রোপণ ও বীজবপনের মাধ্যমে তাঁরা সবুজভাবনাকে আরও প্রসারিত করতে চান। শান্তিনিকেতন সবুজ সংকল্প সোমাইটির প্রেমিডেন্ট ড. দেবব্রত কুনুই মহাশয় জানালেন – সরকারী উদ্যোগে যদি বনবিভাগ ফলের গাছ রোপণ করে তাহলে বাস্তুতন্ত্র বজায় থাকবে ও সরকারের আয়ের নতুন দিশা খুঁজে পাবে। সেই সঙ্গে প্রকৃতি হয়ে উঠবে সবুজে সবুজ।