জিরো পয়েন্ট নিউজ – নূর আহামেদ, মেমারি, ১৩ জুলাই ২০২২:
গত ১৯ মে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত রসুলপুরে তিরুপতি কোল্ড স্টোরেজ খোলার পর চাষীরা জানতে পারে স্টোরেজের ৩ নং চেম্বারে ১লাখ ২০ হাজার প্যাকেট আলু নষ্ট হয়ে গেছে স্টোরেজে আভ্যন্তরীন গ্যাস লীকের কারণে। এর ফলে মালিক ও চাষীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক হয় ক্ষতিপূরণের জন্য কিন্তু আজ প্রায় ২ মাস হতে চললো স্টোরমালিকের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
২৯ জুন দুই বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী চাষীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে নির্দেশ দেন উপস্থিত প্রশাসনিক কর্তাদের। আজ ১৫ দিন হতে চললো তারও কোন ফল পায়নি চাষীরা। প্রায় তদসংলগ্ন ২৫ টি গ্রামের আলু চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত এর ফলে। বুধবার সকালে রসুলপুর কৃষি সংহতি মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়।
অবরোধ ঠেকাতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় মেমারি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী কিন্তু চাষীরা তাদের দাবীতে অনড় থাকে প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ চলে। ফলে ব্যপক যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। যদিও অবরোধ চলাকালীন অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সরকারী বাসে রুগী থাকায় ছাড় দেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এডিএম ম্যাডাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরো ঘটনাটি জেলা শাসক দেখছেন। হাইকোর্টে যে কেসটি চলছে সেটি ডিসপোজ হলেই চাষীরা তাদের ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন।
স্থানীয় চাষী সুমিত রায় জানান, তিন মাস হয়ে গেল এখনও কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি। চাষের সিজন চলে যাচ্ছে এর পর ক্ষতিপূরণ না পেলে অনাহারে মরবো। ইতিমধ্যে স্টোরেজ মালিকের বিরুদ্ধে ৪২০ কেস করেছেন, তার উত্তরও মালিক দেয়নি। সরকার ও প্রশাসনও গাফিলতি করছেন বিষয়টিকে নিয়ে।