আজ ভারত দুগ্ধ শিল্পে সাফল্যের চুরান্তে রয়েছে। কিন্তু কয়েক দশক আগেও ভারতের চিত্রটা ছিল একদম ভিন্ন। সালটা ১৯৪৯। তখনও ইংরেজদের দ্বারা ক্রমাগত শোষিত হচ্ছে দেশের কৃষক সমাজ । যখন দেশের অধিকাংশ কৃষক দুবেলা দুমুঠো খেতে পারছে না,ঠিক তখনই গুজরাটের আনন্দ শহরে, এক দুধ সমবায় সমিতিতে কাজ শুরু করেন ২৮ বছরের এক যুবক।ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন কৃষকদের মাসিহা।বদলে দিলেন গোটা দেশের চেহারা।দেশে আনলেন এক ‘আমুল’ পরিবর্তন।যা পরবর্তিকালে শ্বেত বিপ্লবের আকার নেয়।তিনি ভার্গিস কুরিয়েন।
১৯২১ সালের ২৬ নভেম্বর কেরালার এক খ্রিস্টান পরিবারে জন্ম কুরিয়েনের । পদার্থ বিদ্যায় বি.এসসি ডিগ্রি কমপ্লিট করার পর সরকারী বৃত্তি নিয়ে আমেরিকা চলে যান, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পরার জন্য। পড়াশোনা শেষ করে, ভারতে ফিরে আসেন ডঃ কুরিয়েন।ভারতে ফিরে,চুক্তি অনুযায়ী গুজরাটের কয়রা জেলার আনন্দ শহরে একটি দুগ্ধ সমবায় সমিতিতে কাজ শুরু করেন। দুধ উৎপাদনে ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন শ্বেত বিপ্লবের জনক ভার্গিস কুরিয়েন।
দুধের ঘাটতি দেশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উত্পাদক দেশে পরিণত করেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই গঠিত হয়েছিল জাতীয় দুগ্ধ উন্নয়ন বোর্ড । যা সারা দেশে দুগ্ধ সমবায় আন্দোলন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ডঃ কুরিয়েন আনন্দ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেডের একটি অন্য নাম দিতে চেয়েছিলেন যা সহজেই উচ্চারণ করা যায় । তখন সমবায়ের এক কর্মচারী “আমুল” নামটি সুপারিশ করেন।সংস্কৃত শব্দ অমূল্য থেকে আসে আমুল। নামটি মনে ধরে যায় কুরিয়েনের। এভাবেই শুরু হয় আমুলের পথচলা।