29/03/2024 : 1:14 AM
আমার বাংলাখেলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমান

ওদের হাতে তুলে দেওয়া হলো খেলার সরঞ্জাম

জিরো পয়েন্ট নিউজ – জ্যোতিপ্রকাশ মুখার্জ্জী,পূর্ব বর্ধমান, ২ জানুয়ারি ২০২৩:


একটা সময় ভারতীয় ফুটবলে বাংলা সেরা হলেও এখন কার্যত বাঙালিরা ব্রাত্য। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা, আইএসএলেও মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল দলে বাঙালি ফুটবলারদের সংখ্যা কার্যত খুবই কম। এখন মূলত অন্য রাজ্যের ফুটবলাররা বাংলার দলগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখনো গ্রাম বাংলার যেসব ফুটবল মাঠে খেলাধুলা হয় সেখানে আদিবাসী ফুটবলারের সংখ্যা বেশি।

এইসব আদিবাসী ছেলেদের অধিকাংশ সংসারের দাবি মেটাতে সারাদিন চাষের জমিতে বা অন্য কোনো কাজে কঠোর পরিশ্রম করে। তারপর অনুশীলন করার সুযোগ পায়। অর্থের অভাবে এরা খেলার জন্য প্রয়োজনীয় বুট, প্যাণ্ট, জার্সি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনতে পারেনা। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিম মঙ্গলকোটের গণপুর গ্রামের আদিবাসী খেলোয়াররা। এই অভাব মেটানোর জন্য নতুন বছরের প্রথম দিনেই নিজের ক্লাবের ফুটবলারদের পাশে দাঁড়ালো গণপুর নরেন্দ্র স্মৃতি ফুটবল ক্লাব।

রামপ্রসাদ ভট্টাচার্য, বিজয় চ্যাটার্জ্জী, রামমাধব ভট্টাচার্য, শিবাশীষ চ্যাটার্জ্জী(সুবু), প্রশান্ত সরকার সহ কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীর সহযোগিতায় গত ১ লা জানুয়ারি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রাক স্যুট ও ট্রাক সার্ট। এগুলি তাদের হাতে তুলে দেন প্রবীণ ফুটবলার দেবকী মুখার্জ্জী এবং তৎসহ ডলি মুখার্জ্জী, সঙ্গীত শিল্পী তৃণা মুখার্জ্জী, আইনজীবী গার্গী মুখার্জ্জী প্রমুখ। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের কোচ প্রেমানন্দ মুখার্জ্জী। প্রসঙ্গত এর আগে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাদের হাতে খেলার বুটও তুলে দেওয়া হয়। বছরের প্রথম দিন এগুলি পেয়ে সোম, রবি, গোবিন্দ, রাজেন, গোপাল, মনসারা খুব খুশি। যদিও কয়েকজন সেই সময় উপস্থিত থাকতে পারেনি। জানা যাচ্ছে পরে অনুশীলনের সময় খেলার মাঠে সেগুলি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

সোম কোঁড়ার বক্তব্য – শীতকালে ফুটবল ম্যাচ খেলার সময় খুবই সমস্যা হতো। নিজেরা কোনোদিনই কিনতে পারতাম না। আজ এগুলি পেয়ে খুব ভাল লাগছে। গ্রামের জামাই প্রশান্ত বাবু বললেন – যখন শ্বশুরবাড়ি আসি দেখতে পাই এইসব ছেলেরা অনেক কিছু অভাবের মধ্যেও অনুশীলন করে যাচ্ছে। দেখে খারাপ লাগে। মনের মধ্যে ওদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে জাগে। তাই ওদের পাশে দাঁড়ালাম। ভবিষ্যতেও ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

টিমের কোচ প্রেমানন্দ বাবুর বক্তব্য – এখন অধিকাংশ ফুটবল টুর্নামেন্ট হয় শীতকালে। গরীব ঘরের এইসব ছেলেরাই আমার টিমের ভরসা। কিন্তু ওদের ট্রাক স্যুট বা শার্ট না থাকার জন্য ওয়ার্ম আপ করার সময় বা খেলার শেষে খুবই সমস্যা হতো। আজ সবার সহযোগিতায় এই সমস্যা দূর হলো। আমি এর জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

Related posts

আবার বিষধর সাপ উদ্ধার আউসগ্রামে

E Zero Point

লকডাউন থেকে আংশিক লকডাউনঃ তাঁতশিল্পীদের অবস্থা এখনও খারাপ

E Zero Point

অবশেষে মেমারি পৌরসভায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা

E Zero Point

মতামত দিন