জিরো পয়েন্ট নিউজ, এম.কে.হিমু, নূর আহামেদ, শহীদুল ইসলাম, মেমারি, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩:
কয়েকমাস আগেই বোর্ড গঠন হয়েছে আর এরই মধ্যে আবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শব্দের আপত্তি সংবাদমাধ্যমের কাছে। কিন্তু সোমবার মেমারি থানার সামনে অজস্র তৃণমূলকর্মীদের ভিড় থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে হুঙ্কারকে সৌহার্দ বিনিময় বলা যেতেই পারে!!! যেখানে তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বিরুদ্ধে মারধোর, হেনস্তা, জাতিগত বৈষম্যে সহ একাধিক অভিযোগ করলেন সভাপতি।
সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি ২ ব্লকের অন্তর্গত মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গফ্ফর মল্লিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্যা তথা সহ সভাপতির স্ত্রী ডালিয়া খাতুন, তৃণমূল কর্মী শেখ রহিম, জ্যোর্তিময় মন্ডলের নামে মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু।
জানা যায় সোমবার দুপুরে কুচুট পঞ্চায়েত প্রধান মদনমোহন দাস তার কক্ষে এলাকার সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন সেইসময় সভাপতি ময়না হালদার টুডু তার অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন অনন্যা সমস্যা নিয়ে সেখানে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হওয়ার পর। সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ফিরে আসেন। বিকালে মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি গফ্ফর মল্লিক তার অনুগামীদের নিয়ে আসেন। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস প্রাঙ্গণে দুপক্ষের মধ্য শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেমারি থানার পুলিশ।
এবিষয়ে ময়না হালদার টুডু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, সভাপতির পদে বসার পর থেকেই তাকে জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হয়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতপাত তুলে অকথ্য কটুক্তি করা হয় তাকে। এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও জানান মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে সহ সভাপতি গফ্ফর মল্লিক ঠিকাদারদের কাজের কাগজপত্রে সাক্ষর করার জন্য প্রভাব খাটায়।
এদিন মেমারি থানা প্রাঙ্গণে উপস্থিত কুচুট পঞ্চায়েতে প্রধান মদনমোহন দাস জানান এলাকার পারিবারিক বিবাদ নিয়ে মিটিং চলাকালীন সভাপতি তার দলবল নিয়ে এসে তার সাথে উত্তেজিত হয়ে অন্যান্য সমস্যার সমাধান হয়নি কেন তার হিসাব চায় এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শাসিয়ে বেড়িয়ে যান।
যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানা প্রাঙ্গণে উপস্থিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক জানিয়েছেন এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। এটি মিথ্যে অভিযোগ।যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ তদন্ত করবে।
জাতিগত বিদ্বেষ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে তিনি বা তার অনুগামীরা দীক্ষিত। সমস্ত জাতিকে শ্রদ্ধা সম্মান করেন জাতিগত বৈষম্যে বিজেপি-সিপিআইএম করে তারা নয়।
যদিও আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে উপস্থিত অশোক হেমরম বলেন, মহিলা সভাপতির প্রতি এই দুর্ব্যবহার, কটুক্তি, জঙ্গলমহল তুলে কথাবার্তার বিচার যদি না হয় তার বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।