02/05/2024 : 6:50 AM
আমার বাংলাদক্ষিণ বঙ্গপূর্ব বর্ধমানমেমারি

আবার বিতর্কের কেন্দ্রে মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ

জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩:
(পার্থসখা অধিকারী, নূর আহামেদ, অতনু ঘোষ, সঞ্জয় ব্যানার্জীর সাথে এম. কে. হিমুর রিপোর্ট)


মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তী বার বার বিতর্কের কেন্দ্রে। কখনও ছাত্রছাত্রীদের সোস্যালে নৃত্যের ভিডিও ভাইরাল হয় তো কখন কলেজের আভ্যন্তরীন বিষয়ে অধ্যাপক কিংবা কলেজ শিক্ষাকর্মীদের সাথে বিতর্ক। মেমারি কলেজের অধ্যক্ষকে বিতর্ক যে ন পিছু ছাড়ছে না।

বুধবার মেমারি কলেজ প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তীর নামে পড়লো একাধিক পোষ্টার। কী লেখা আছে সেই পোষ্টারে?

মেমারি উৎসবের জন্য মেমারি পৌরসভার কাছে মাঠ দেওয়ার জন্য দেড় লক্ষ টাকার জুলুমবাজী ঘুষ এর দাবী করেছে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল দেবাশীষ চক্রবর্তী। – মেমারী বাসী

আবার কোথাও লেখা আছে, মেমারি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ থাকার জন্য রামপুরহাট কলেজের এর প্রোফেসার থেকে মেমারি কলেজের প্রিন্সিপ্যাল দেবাশীষ চক্রবর্তী।

কোন কোন পোষ্টারে লেখা আছেত তিনি অগাধ সম্পত্তির মালিক, এমনকি তার প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয় পরিজনদের চাকরি ও সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে,তাই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চাই।

বুধবার এরকমই সব পোষ্টার দেখা গেল মেমারি কলেজ গেট থেকে মেমারি কলেজ পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে বিভিন্ন জায়গায়। আর এই নিয়ে জোর চর্চা মেমারি কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে মেমারির নাগরিকদের মধ্যে।


বারবার বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে মেমারি কলেজের অধ্যক্ষয কিন্তু কেন? এব্যপারে অধ্যক্ষ বলেন, ২০১৮ থেকে তিনি এই কলেজে আছেন আর মাত্র ২ বছর থাকবেন তাই মেমারি কলেজের ঐতিহ্য ও শিক্ষার মান ধরে রাখার দায়িত্ব তারই। মেমারি উৎসবে মাঠ ব্যবহার করার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে যা কলেজের সাংস্কৃতিক কমিটির সিদ্ধান্ত এবং তা ইমেল করে দেওয়া হয়েছে মেমারি পৌরসভাকে।  কিন্তু , তিনি নাম না করে, কলেজেরই কোন এক অশিক্ষক কর্মীকে দায়ী করেন এই পোস্টার কাণ্ড নিয়ে। বারং বারের মতো এটিও ওই অশিক্ষক কর্মীরই একটি চেষ্টা বলে জানান তিনি। তবে এব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তিনি নেবেন।

এদিকে মেমারি পৌরসভা পরিচালিত মেমারি উৎসবের সম্পাদক ও মেমারি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্ত অধ্যক্ষ দেবাশীষ চক্রবর্তীকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যা দিলেন এবং বললেন তিনি মেমারির ইতিহাস জানেন না। মেমারি পৌরসভার মধ্যে কলেজ ও তার মাঠ তিনি অনৈতিক ভাবে এই টাকা দাবী করছেন। গত বছর ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। মাঠের রক্ষানাবেক্ষন করে দিয়েছিল পৌরসভা।
পোষ্টার যে বা যার লাগিয়েছে সঠিক দাবী করেই লাগিয়েছে মেমারিবাসীর কর্তব্য হিসাবে।

অন্যদিকে সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য সনৎ ব্যানার্জি বলেন মেমারি উৎসব মেমরির গর্ব।বাম আমল থেকেই মেমারি কলেজের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই মেমারি উৎসব। তাই মেমারি উৎসবকে অন্য কোথাও না করে মেমারি কলেজ মাঠেই করার দাবি করলেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষা প্রাঙ্গণে মেলা উৎসব করা উচিৎ কী না কিংবা উৎসব করার জন্য মাঠের কত ভাড়া হওয়া দরকার সেটার চেয়ে বড় প্রশ্ন মেমারি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে প্রশাসন সহ আভ্যন্তরীন শিক্ষাকর্মী, অধ্যাপকদের সাথে একাধিক অভিযোগ বার বার উঠে আসে কিন্তু তার প্রকৃত সত্য কী তা মেমারির নাগরিকের সামনে আনা উচিৎ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা কিংবা জনপ্রতিনিধিদের।

 

 

Related posts

প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে গুসকরায় রক্তদাতাদের ভিড়

E Zero Point

জামালপুরে ক্যানেল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

E Zero Point

ভাতারের মুরাতিপুরে বালি বোঝাই ডাম্পার উল্টে গিয়ে বিপত্তি

E Zero Point

মতামত দিন