আলেক শেখ, কালনা, ২৪ জুনঃ লকডাউন উঠে যাওয়ার পর আবার কাজ শুরু করেছে পূর্বস্থলীর নার্সারিগুলি। স্থানীয় খরিদ্দাররা আসছেন গাছের চারা কিনতে। বনসৃজনের মতো কর্মসূচি নেওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোও এখন এখানকার চারার খরিদ্দার। তবে ট্রেন চালু না হওয়ায় বাইরের কোন খরিদ্দার আসতে পারছেন না। তাই নার্সারিগুলোতে পুরোপুরি কাজ চালু হয়েছে তা বলা যাবে না। উল্লেখ্য লকডাউনের কারনে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন পূর্বস্থলীর নার্সারির মালিক ও তার সঙ্গে জড়িত মানুষেরা। নার্সারির উৎপাদিত কোন চারা বিক্রি না হওয়ার কারনে তাঁদের রুজি-রোজগারে টান পড়ে। বাংলার ভাতঘর বলে খ্যাত পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত কৃষিপ্রধান মহকুমার মধ্যে অন্যতম কালনা। এই মহকুমার পাঁচটি ব্লকই কৃষিতে সমৃদ্ধ। তবে পূর্বস্থলী-২ ব্লক কৃষিতে বৈচিত্র এনেছে। এই ব্লকে চিরাচরিত ধান, পাট চাষকে কমিয়ে সবজি ও নার্সারির দিকে ঝুঁকেছে এখানকার মানুষ। তাতে এই এলাকার কৃষকরা শুধু আর্থিক ভাবেই উন্নতি করেনি, পাশাপাশি এই বিকল্প ভাবনায় বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। পূর্বস্থলী বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত ভাওয়াল জানান– পূর্বস্থলী ও পারুলিয়ায় ৬০/৬৫ টি নার্সারি গড়ে উঠেছে। এই নার্সারিগুলিকে অবলম্বন করে দের সহস্রাধিক পরিবারের অন্নসংস্থান হয়েছে। এই নার্সারিগুলিতে শীতকালে বিভিন্ন ফুলের চারা উৎপাদিত হয়। এই ফুলের চারা বর্ধমান জেলার সীমানা ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলা এমনকি ঝাড়খণ্ডের মত রাজ্যেও চলে যায়। শীতের মরসুম শেষ হলেই গরম মরশুমে নার্সারিগুলিতে বেগুন, লঙ্কা, টমেটো, ক্যাপসিকাম প্রভৃতি ফসলের চারা তৈরি করা হয়। এই সব চারা উৎপাদনের করে এই মরশুমে বিক্রির মুখে হঠাৎ লকডাউন। তাতে বেশ কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েন নার্সারির সঙ্গে জড়িত মানুষেরা। আবার নার্সারিগুলি চালু হয়ে যাওয়ায় তাঁদের সেই ক্ষতি সামলানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই তাঁদের মুখে খুশির ঝিলিক।