জিরো পয়েন্ট নিউজ – পরাগ জ্যোতি ঘোষ, মেমারি,৪ অগাষ্ট ২০২৪ :
মঙ্গলকোটের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। চাণক অঞ্চলের জালপাড়া, গনপুর ,সরুলিয়া, সারাঙ্গপুর, উজিরপুর প্রভৃতি গ্রামের বিস্তীর্ণ চাষের জমি জলের তলায়। চাষীদের মাথায় হাত। অনা বৃষ্টির ফলে সাবমারসিবল এ জল কিনে চাষিরা অনেক কষ্টে তাদের জমি চাষ করেছিল। কিন্তু এই অতিবৃষ্টি তাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিল। তাদেরকে আবার চাষ করতে হবে। কারণ এই জল নষ্ট করে দেবে সদ্য বপন হওয়া ধান-জমি গুলিকে। জাল পাড়ার কৃষক সুজিত গড়াই জানান অনেক কষ্টে জল কিনে তারা চাষ করেছিলেন কিন্তু এভাবে যে ভগবান সবকিছু নষ্ট করে দেবেন এটা তারা ভাবেননি। ধার দেনা করে চাষিরা জমি চাষ করেছিল কিন্তু আর তারা হয়তো চাষ করতে পারবেন না। তাই চাষীদের প্রচুর ক্ষতি হয়ে যাবে। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের দীর্ঘ সোয়ার হনুমান মন্দিরের পাশের রাস্তাটি যেভাবে জলমগ্ন হয়ে গেছে সেখানে অবস্থিত দীর্ঘসোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ,হেলথ সেন্টার এবং এসআই অফিসে মানুষজন যেতে পারছেন না ।অনেক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ।
দীর্ঘসোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মানিক রজক জানান ছাত্ররা খুবই অসুবিধায় পড়েছে। আজ বিদ্যালয়ে অনেক কম সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীর হাজীরা হয়েছে এবং তিনি একটি কাজে এসআই অফিসে এসেছেন অনেক কষ্ট করে। কারণ রাস্তাগুলো সবই জলমগ্ন। এছাড়াও মঙ্গলকোটের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের যাতায়াতে ভীষণ কষ্ট হয়েছে আজ রাস্তা জলমগ্ন থাকার কারণে ।এখন যদি জল থামে তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতির ঠিক হতে পারে না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাবে বলে জানান শিক্ষক মানিক রজক।
অন্যদিকে চানক অঞ্চলের অনেকগুলি পুকুর ভেসে গিয়েছে জালপাড়া গ্রামে ।বন্যার জলে জেলেরা মাছ ধরছে ।স্থানীয় পুকুরচাষী জানান তাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। হয়তো অনেকে আনন্দ করে মাছ ধরছে, কম দামে মাছ পাচ্ছেন কিন্তু এটা অনেকটা আলু স্টোরে আগুন লাগার মতো বিষয় ।স্টোর মালিকের ক্ষতি হয় কিন্তু অনেকে হয়তো আলু পোড়া খায় আনন্দ করে এবং কখন আবার স্টোর পুড়বে সেরকম মন্তব্যও করে। কিন্তু তাদের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল এবারে মাছচায পুরো বিফলে চলে গেল তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে।