জিরো পয়েন্ট বিশেষ প্রতিবেদন, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ :
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় গঙ্গা নদীর তীরে রাণী রাসমনি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে আপামর বাঙালির এক তীর্থ স্থান। সেই দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দিরের আদলে গুজরাতের সুরাট শহরে তাপ্তী নদীর নিকটে তৈরি হয়ে শ্রী শ্রী কালীমাতা মহিমা মন্দির।
প্রায় ৫০ বছর আগে জীবিকার তাগিদে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক মানুষই গুজরাতের সুরাট শহরে স্বর্ণশিল্পের কাজে এসেছিলেন। সেইসময় কয়েকজন স্বর্ণরকাররা এক সাথে মিলিত হয়ে শুরু করেন কালীপুজোর। তারপর ধীরে ধীরে অনেকে স্বর্ণকারদের মিলিত প্রয়াসে সুরাটের পিপলোদে ডুমস রোডের ধারে একটি জায়গা কেনা হয়েছিল মন্দির স্থাপনের লক্ষ্যে। ধীরে ধীরে অনেক বাঙালি স্বর্ণকারভাইদের সহযোগিতা ও আক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে ওঠে আজকের শ্রী শ্রী কালীমাতা মহিমা মন্দির।
আজ শুধু সুরাটই নয় সমগ্র গুজরাতের এক দর্শনীয় স্থান কালীমাতা মহিমা মন্দির। শ্রী শ্রী কালীমাতা পাবলিক চ্যারিটেবিল ট্রাস্ট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই কালীমন্দিরের নির্মাণরকাজে আজ অনেক সহৃদয় ব্যক্তিরা পরলোকগমন করেছেন কিন্তু তাদের স্বপ্ন ট্রাস্টের কমিটি পূরণ করছে। বর্তমানে তৈরি কালীমাতা মহিমা মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি হচ্ছে বিবিধ সুবিধা সম্পন্ন সুরাট কালী বাড়ি। সুরাটের বাঙালিদের মিলনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কালীমাতা মহিমা মন্দির।
শ্রী শ্রী কালীমাতা পাবলিক চ্যারিটেবিল ট্রাস্টের সভাপতি অরিন্দম ভৌমিক বাবু জানান, সনাতন ধর্মের রীতিনীতিকে অনুসরণ করে শ্রী শ্রী কালীমাতা পাবলিক চ্যারিটেবিল ট্রাস্টের পরিচালনায় ডুমস রোড, পিপলোদে সুরাট কালীবাড়িতে শ্রী শ্রী কালীমাতা মহিমা মন্দিরে মায়ের আরাধনায় ব্রতী হয়েছি আমরা। এবছর আমাদের কালী পুজো ৪৮ বছরে পদার্পণ করেছে। সুরাটের সমস্ত বাঙালিদের কালী মায়ের পুজোয় অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।