আলেক শেখ, কালনা, ২৩ জুনঃ একই কাজ করে আশা দিদিরা সরকারের নিকট থেকে কাজের স্বীকৃতি আদায় করে নিতে সক্ষম হলেও গ্রামীন সম্পদ কর্মীরা কিন্তু সে স্বীকৃতি পায়নি। আশা দিদিদের কাজের স্বীকৃতি দিতে গিয়ে সরকার বলেছে– আশা দিদিরা বাংলার ১৫ কোটি বাড়িতে ভিজিট করেছেন। সে খবর তথাকথিত বড় মিডিয়াগুলি ফলাও করে প্রকাশও করেছে। যদিও বাংলার জনসংখ্যা ১০ কোটির মত। এত বাড়ি কোথা থেকে এলো– তা সরকারই বলতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে। শুধু করোনা ভাইরাস নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ভিজিট করায় নয়, তথাকথিত গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের সমস্ত কাজে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে কাজ করতে হয়। তাদের এখন করোনার পাশাপাশি পতঙ্গবাহিত ডেঙ্গু নিয়েও বাড়িতে বাড়িতে ভিজিট করতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হচ্ছে–করোনাকে কি করে পরাজিত করতে হয়, ডেঙ্গুকে কি ভাবে প্রতিরোধ করতে হয়। ঢাল তরোয়াল বিহীন এই নিধিরাম সর্দ্দাররা শপথ নিয়েছে–ডেঙ্গু ও করোনার হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করবেই করবে। এই শপথ নিয়ে তারা গোটা বাংলা জুড়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই।
মঙ্গলবার এই রকমই একটি গ্রামীন সম্পদ কর্মীর দলের দেখা মিললো পূর্বস্থলী-১ ব্লকের দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাতুড়িয়া গ্রামে। তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পতঙ্গ বাহিত রোগ ডেঙ্গু ও নোভেল করোনা সমন্ধে মানুষকে সচেতন করতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায়। ডেঙ্গু ও নোভেল করোনা কেন হয় ? কিভাবে হয় ? এবং কি ভাবে তার প্রতিরোধ সম্ভব এই বিষয়ে তারা মানুষকে জনসেচতন করে তোলে।