জিরো পয়েন্ট নিউজ ডেস্ক, দিল্লী, ৫ অগাষ্ট ২০২১:
গত শুক্রবার রাতে দিল্লিতে ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে রাধে শ্যাম নামে এক ব্যক্তি ও শ্মশানের তিন কর্মী। এমনকী, নির্যাতিতা দেহ নাকি বাবা-মা-কে না জানিয়েই দাহও করে দেওয়া হয়! ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শ্মশানের ভিড় জমান শ’দুয়েক মানুষ। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। মঙ্গলবার রাতেই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেছিলেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার দিল্লিতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্য সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সংবাদ সংস্থাকে এএনআই-কে বলেন, ‘আমি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা শুধুমাত্র ন্যায়বিচার চাইছেন, তাছাড়া আর কিছুই চাইছেন না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা সেই বিচার পাচ্ছেন না। আমরা তাঁদের সাহায্য করব। যতদিন না তাঁরা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী তাঁদের পাশে থাকবে’। এরপর নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে দেন টুইটারে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, ‘এই মা-বাবার চোখের জল শুধু একটা কথাই বলছে, ওঁদের মেয়ের জন্য সুবিচার চায়। আর এই সুবিচারের রাস্তায় আমি ওঁদের সঙ্গে আছি’। যা আইনে চোখে অপরাধ।
বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তার টুইটার থেকে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বির্তকের কেন্দ্রে। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। টুইটার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে এনসিপিসিআর। পকসো আইন ভঙ্গের অভিযোগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের অভিযোগ, নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ছবি টুইট করে পকসো আইনে ৭৮ নম্বর ধারা ও জুভেনাইল জাস্টিস আইনে একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছেন রাহুল। রাজনীতির স্বার্থেই নির্যাতিতার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। দাবি তুলেছেন, দ্রুত নোটিশ পাঠিয়ে রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই ঘটনায় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।