মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সিনেমা-থিয়েটারগুলি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ভাইরাসের মোকাবিলায় তাই ২০০ কোটি টাকা তহবিল গড়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের (West Bengal) সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণাও করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হচ্ছে, এর ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি এই মারণ ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সিনেমা-থিয়েটারগুলিও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা ভাইরাস মহামারী রূপে দেখা দেওয়ায় গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি বলেন,”বাংলায় প্রায় ৩.২৪ লক্ষ লোককে স্ক্রিনিং করে দেখা হয়েছে এবং আমরা তাঁদের মধ্যে আপাতত ৫,৫৯০ জনকে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা ভাইরাসের কোনও ইতিবাচক ঘটনা ঘটেনি”।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন যে, এই তহবিলের আওতায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করা ১০ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর জন্যে ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্থ্য বিমা করা হবে। এই তহবিলের অর্থ থেকেই স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ২ লক্ষ টাকার বিশেষ পোশাকও কেনা হবে। পাশাপাশি কেনা হবে ২ লক্ষ এন-৯৫ মাস্কও। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্যে ৩০০টি ভেন্টিলেশন কেনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। করোনা আক্রান্ত রোগীদের যাতে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে না দেয় সেদিকেও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে কড়া নজর রাখতে বলেছেন তিনি।
“করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় আমরা ২০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করছি”, বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে ১১৬ জন আক্রান্ত। মৃত ২। চিনের উহান প্রদেশ থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে এই ভাইরাস মারাত্মক রূপে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ পরিস্থিতি বিবেচনা করে একে ‘মহামারী’ বলে ঘোষণা করেছে।
চিকিৎসকদের মতে, সর্দি ও কাশির দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে করোনা ভাইরাস। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ন্যূনতম সংস্পর্শ রেখে না চলারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘনঘন হাত ধোয়া এবং হাঁচি বা কাশি হলে মুখ মুছতে নতুন টিস্যু ব্যবহার করার কথাও বলা হয়েছে। এর ফলে ভাইরাস সহজে ছড়িয়ে পড়বে না।