এখন সারা দেশ লক ডাউনের পথে অগ্রসর হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে মোট ৭৫ টি জেলাকে লক ডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সারা দেশ জুড়ে পালন করা হয় জনতা কার্ফু। তো এমন খবরও পাওয়া যায়, এই লক ডাউনের অনেক আগেই অনেক রাজ্যে ১৪৪ ধারা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। তো এবার এটা সম্পর্কেই স্পষ্ট জেনে নেওয়া যাক, ১৪৪ ধারা ও লক ডাউন কোনোভাবেই এক কিনা? উত্তরে বলতে হবে কোনোভাবেই এক না। তো এর সম্পর্কে এবার বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক।
১৪৪ ধারা?
এই ১৪৪ ধারা হল, সরকার যেখানে জোড়জুলুম দেখবে তার ওপরে এই ধারার প্রয়োগ করবে। এই ধারা উপদ্রবের আশঙ্কা নির্দেশ করে জারি করা হয়। এই ধারার নিয়ম হল একসাথে কোনোজায়গায় ৫ থেকে তার বেশী লোক একসাথে থাকতে পারবে না। আর থাকলেই সেটা আইন বিরুদ্ধ। এছাড়া এই নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে, কোনো টেলিকম সংস্থা একাধিক ছোট জায়গায় বা বড় জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ রাখতে পারে। এমনকি কোনো সাধারণ মানুষ চলাকালীন কোনো ধরনের অস্ত্র,লাঠি নিয়ে যেতে পারবেন না।একমাত্র সামরিক বাহিনীরাই অস্ত্র সহ সেখানে যেতে পারবেন।
কার্ফু কি?
এখানে এবার জেনে নেওয়া যাক কার্ফু সম্পর্কে।বলতে পারেন এই কার্ফু ১৪৪ ধারার এক স্টেজ ওপরে। আসলে এই দাঙ্গা হাঙ্গামা থেকে বাচতে এই কার্ফু জারি করা হয়। যখন মানুষের রোষ ভয়ঙ্কর দাঙ্গা হাঙ্গামায় পরিণত হয় তখন এই কার্ফু জারি করা হয়।পুলিশের হাতের বাইরে থেকে যখন নিয়ন্ত্রণ একেবারে বের হয়ে যায় তখন আসলে এই কার্ফু জারি করা হয়। এই কার্ফুর নির্দিষ্ট কোনো ধরনের নিয়ম নেই, সমসস্যার ওপরে নির্ভর করে এর সময়কাল নির্ধারণ করা হয়। এই কার্ফুর মূল নিয়ম হল ,মানুষকে বলা হয় সর্বদা ঘরের বাইরে না থাকতে। এর পেছনে কারণ একটাই থাকে, মানুষ যাতে ফের জমায়েত করে আবার কোনো গন্ডোগোল না পাকায়, এর জন্য তাদের ঘরের থাকার জন্য কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়।
লকডাউন কী?
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভারতে এবারই প্রথমবারের জন্য লকডাউন কথাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর সহজ অর্থ হল, প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি (শুধু খাবার, দুধ, সবজি, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রের দোকান আর হাসপাতাল ও চিকিৎসা পরিকাঠামো খোলা থাকবে। টেলিকম, ইন্টারনেট, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ, জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবা ) বাদ দিয়ে সবকিছু বন্ধ রাখা। বাড়ির বাইরে থেকে বেরতে বারণ করা হয়েছে। খুব জরুরি কাজে বেরলেও এক জায়গায় ৭ জনের বেশি লোককে জমায়েত হতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। বাস, অটো, টোটো, ট্যাক্সি-সহ প্রায় গোটা গণপরিবহণ বন্ধ থাকে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা, দোকান-বাজারও বন্ধ থাকে।
এর আগে লকডাউন
৯/১১ তে আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে সর্বপ্রথম লকডাউন করা হয়েছিল। এরপর ২০১৩তে বোস্টন এবং ২০১৫-তে প্যারিসে হামলার পর ব্র্যাসেলস-এ লকডাউন ঘোষণা করে হয়েছিল।