স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ কেমন আছে মেমারিও সংলগ্ন গ্রাম গুলি? আদেও করোনা ভাইরাস তাদের জীবনে কোন ছাপ ফেলেছে?
প্রশ্নটা আপাতত খোলা রাখলাম। গ্রাম গুলির কথা বাদ দিন। সাতগেছিয়া, মেমারি, মধ্যমগ্রাম আপাতত শুনশান রাজপথ। তাহলে রাজা কোথায়? কোথায় প্রজারা? ব্যবসায়িক মহল গোমরা মুখে প্রমাদ গুনছে। রোগের থেকে পেটের টান বড়। সাতগেছিয়ার দাশফার্মেসী সোমনাথ দাকে প্রশ্ন করলাম কেমন আছেন। হাজার হাজার টাকায় দৈনিক বিপননের কেন্দ্র দাস ফার্মেসীর দীর্ঘশ্বাস ভয়ে আছি। কিসের ভয় ? আতঙ্ক করনার না ঘরানার! সাতগেছিয়ার দু একটা সবজি ওয়ালা বসে। গ্রামের মানুষ এখন ওষুধ নিয়ে চিন্তায়। সুগার ,থায়রয়েড নার্ভের ওষুধে র জন্য মানুষ চিন্তায়। সত্যি পাবো তো? পেলেও কি করে যাবো। বড়পলাশনের কিশোর আসিফ ইকবালের ওষুধ চলে নার্ভের একটি। বাড়ির লোক চিন্তায়। মা রওশোনারা বেগম বলেন অর্ডার দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তার বাবুরাও ফোন ধরেন না। বড়পলাশনের গালিফ সেখ, আশা মুস্তারী বেগম দিঘির পাড়ের শাকিল সেখ , এ এন এম সম্বরী সরেন সবাই করোনা নির্মুলে যোদ্ধার ভূমিকা নিয়েছে। কিছু সচেতন মানুষ মুখ বেঁধে রাস্তায় হাঁটছেন। কেউ কেউ গ্লাভস। গ্রামীন পুলিশ মুন্নাফ আলী কে প্রশ্ন করা হয় হ্যা ভাই তোমাদের দেখা পাই না কেন। এগিয়ে এসো দেখো মানুষ এখানে ওখানে জটলা করছে। মুন্নাফ বলে আমরা ক্লান্ত কত মারবো? গ্রামের মানুষ অভ্যাস বদলাতে পারেনা। কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত। আড্ডা চলছে। দোকানে দোকানে জটলা। কেউ আবার ভিতর থেকে চুপি চুপি খুলছে। কাপড়ের ব্যবসায়ী কাওসার ভাই কে প্রশ্ন করা হয় কি ভাই দোকান খুলেছো কেন উত্তর দেয় এই মাস্ক বেচছি। মাস্ক এর অভাবে আশা রাও মুখে রুমাল বেঁধে ঘুরছে। দোকানে ১০ টাকার মাস্ক ৩৯ টাকা। ঝড়ে পড়লো কলা বৌ বলে এই বেলা! ভোটের সময় গ্রামের মানুষ হুজুকে মেতে থাকে। এখন কোথায় ভলেনটিয়ার ! কোথায় প্রশাশন। নেত্রী লড়াই করছেন! জনগন কি করছে? দেশ রাজ্য তোলপাড়!মানুষ অসেচেতন । বেশি বললে সিভিক ভলেন্টিয়ার দের সাথে রাগারাগি চলছে।
আসলেই পুলিশ, স্বাস্থ্য কর্মী দের একান্ত সহযোগিতায় গড়ে উঠবে করোনামুক্ত সমাজ। শুধুমাত্র পঞ্চায়েত , স্বাস্থ্য কর্মীরা এর সমাধান করতে পারবে না। দিনে রাতে পুলিশের গাড়ি এলেই জটলা থামবে না হহলে বাইরে থেকেও আসা একঝাঁক তরুণ কি বয়ে এনেছে বা কি ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে কেউ বুঝতে পারছে না। মোড়ে মোড়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ সত্যিই চরিত্র বদ্লাবে মানুষের কি জানি ! হয়তোরা। তবুও বলবো মমতা ব্যনার্জী জিন্দাবাদ । চেষ্টা চলুক। ঘরে ঘরে ডেটল স্যানিটাইজার ,সাবান পৌঁছে দিন প্রিয় সরকার সমাজের বুক থেকে ধুয়ে যাক করনার করাল গ্রাস।