ক্যাবিনেট সচিব এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের মহানির্দেশকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে। আজ সকালে এবং গত সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্যের মুখ্য সচিব ও পুলিশের মহানির্দেশকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাসম্ভব নীতি-নির্দেশিকাগুলি কার্যকর করা হয়েছে। অত্যাবশ্যক সরবরাহ বজায় রাখা হয়েছে। ২৪ ঘন্টাই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজন-ভিত্তিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য, দেশের কোথাও কোথাও যাযাবর শ্রমিকদের যাওয়া-আসা লক্ষ্য করা গেছে। এই প্রেক্ষিতে জেলা ও রাজ্য সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এক শহর থেকে অন্য শহরে বা মহাসড়কগুলি দিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করতেও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেবল পণ্য সরবরাহের অনুমতি রয়েছে। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইনের আওতায় জারি করা নির্দেশগুলি জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ প্রধানরা ঠিকভাবে কার্যকর করা হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজর রাখবে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, দরিদ্র ও আর্ত মানুষ সহ যাযাবর শ্রমিকরা যেখানে কাজ করেন, সেখানেই থাকা-খাওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গতকালই রাজ্যগুলিকে রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ তহবিল কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান রয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যগুলিকে লকডাউন থাকাকালীন সময়ে শ্রমিকদেরকে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের মজুর সময় মতো মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তবে, শ্রমিকদের কাছ থেকে হাউসরেন্ট আদায় করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। শ্রমিক বা ছাত্রছাত্রীদেরকে তাঁদের বাসস্থান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া যাবে না। অন্যথায় আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যে সমস্ত ব্যক্তি লকডাউন চলাকালীন নীতি-নির্দেশিকা অমান্য করে যত্রতত্র যাতায়াত করবেন, তাঁদেরকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থায় ১৪ দিন একান্তে বিশ্রামে রেখে দেওয়া হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় এ ধরনের ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি রাখার নির্দেশও রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্দেশিকাগুলি তিন সপ্তাহ ধরে কার্যকরভাবে বলবৎ করা রাজ্যগুলির দায়িত্ব। এতে সকলের স্বার্থই জড়িয়ে রয়েছে।