07/05/2025 : 2:00 AM
অন্যান্য

পৃথিবীর এই কঠিনতম অসুখ ছোটদের অন্তরকে স্পর্শ না করুক | সুশান্ত পাড়ুই

সম্পাদক সমীপেষু


পৃথিবীর এই কঠিনতম অসুখ ওদের অন্তরকে স্পর্শ করেনি


সুশান্ত পাড়ুই

এই সময় আমাদের সকলের একটা ব্যাপার মাথায় রাখা খুব জরুরী। আমি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাই বুঝি, শিশুদের এই সময়ের কষ্ট। প্রতিনিয়ত অনুভব করছি আমার সেই সব কচিকাঁচা অবোধ সন্তান দের মনকষ্ট। ওরা বড়ো অসহায়। মুক্ত বিহঙ্গকে বাঁধা হয়েছে শিকলে। ওরা উড়তে চায় আকাশে। পৃথিবীর এই কঠিনতম অসুখ ওদের অন্তরকে স্পর্শ করেনি। ওরা কতদিন ওদের সাথি কে পায়নি। তাই মন পুড়ছে ওদের। এই কঠিন সময়ে আমাদের উচিত ওদের সংগোপনের মন পড়ে ওদের খেলার সাথী হওয়ার। সারাদিনের রুটিন এমন ভাবে তৈরী করুন যাতে ওরা নিজেদের একা বিচ্ছিন্ন বোধ না করে। ওদের সাথে খেলা করুন, বই পড়তে দিন(পাঠ্যপুস্তক বাদে), টিভির রিমোট থাক ওদের হাতে। কোন গঠনমূলক সৃজনশীল কাজে যুক্ত করা যেতে পারে। যেমন ধরুন —আবৃত্তি, ছবি আঁকা, গান, মাটির জিনিস তৈরি, কোলাজ এর কাজ, গাছ পরিচর্যা ইত্যাদি। ওদের সাথে ইন্ডোর গেম খেলুন। যেমন, লুডো, চাইনিজ চেকার, ক্যারাম, ইত্যাদি। এর ফলে ওদের একঘেয়েমী দুর হবে। আর দেখবেন এই অবসরে আপনার শিশু হয়তোবা আপনার এই অদেখা অচেনা অবস্থান লক্ষ্য করে আপনাকেও নতুন করে চিনতে শিখবে। আমাদের পারিবারিক নিবিড় বন্ধন আরো নিবিড় তম হয়ে উঠুক এই কামনা করি। পরিশেষে বলি, এই বিভীষিকা একদিন কেটে যাবে। আগামী দিনের সুখী ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে আমাদের তো পাহারাদার হতেই হবে সেই অনাগত ভবিষ্যৎ স্রষ্টাদের জন্য।

 

Related posts

বৈশাখী উৎসব কমিটির মানবিক উদ্যোগ

E Zero Point

শ্রমিকদের ট্রেনে নিয়ে আসার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রেলের সাথে পরিকল্পনা তৈরি করুক রাজ্য

E Zero Point

মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির খাদ্যসামগ্রী প্রদান

E Zero Point