07/10/2024 : 8:47 PM
অন্যান্য

লক ডাউনঃ মেমারিতে ভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমিকের দল

নূর আহমেদ, মেমারিঃ রবিবার রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাত থেকে করোনার জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার সমস্ত সীমানাকে কার্যত সিল করে দিয়েছেন। আর এদিকে আজ সকালে ১৪ জনের একটি শ্রমিক দল হেঁটে মেমারি থানাতে এসে প্রার্থনা করেন তাদের নিজ নিবাসে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হোক। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন কলকারখানা ও এম্বোডারি কাজের সাথে যু্ক্ত এই শ্রমিকরা লকডাউন ঘোষণার পর আর নিজেদের গ্রামে ফিরতে পারেনি। মূলত বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ জেলাতে তাদের বাড়ি। গতকাল জগৎবল্লভপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়ক গুলসান মল্লিকের চিঠি নিয়ে এক টেম্পো ভাড়া করে রওনা দেন কিন্তু মাঝপথে বৈঁচিতে জিটি রোডের ধারে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০টাকা নিয়ে নামিয়ে দেয়। অসহায় অবস্থায় তারা শেষে হেঁটে মেমারি থানাতে এসে হাজির হয়। মেমারি থানাও ও.সি. সুদীপ্ত মুখার্জীর নির্দেশে টাউন অফিসার শান্তনু রায় চৌধুরী মেমারি-বিডিও বিপুল কুমার মন্ডলের কাছে তাদের নিয়ে আসে কিন্তু জেলা সীমান্ত সিল করে দেওয়ার কারণে জেলা থেকে কাউকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে, তাই এই বিষয়ে তিনি কিছু করতে পারেননি কিন্তু তাদের হেল্থ চেক আপ করানো হয়। মেমারি পৌরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্তর তত্ত্বাবধনা তাদেরকে দুপুরে খাওয়ানো হয় এবং মেমারি-১ নং ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জীর উদ্দ্যোগে  বাগিলা পূর্ণ চন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। ভিন জেলা থেকে আগত শ্রমিকদের যাতে নজরে রাখা হয় এই খোঁজ নিতে গেলে সামাজসেবী শুভেন্দু গুহ জানান যে, তারা বাগিলার একটি আশ্রমে যায় এবং তারপর আর স্কুলে ফেরেনি। হয়ত তারা হেঁটেই বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

Related posts

গভীর রাতে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল আসাম

E Zero Point

লকডাউনে অসহায় মানুষের পাশে মেমারি শহরের বিজেপি-র কার্যকর্তারা

E Zero Point

পল্লিমঙ্গল সমিতি ইঁট ভাটার শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ালো

E Zero Point