নূর আহমেদ, মেমারিঃ গত ২ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলার নিমো-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্না সমবায় সমিতির রেশন ডিলার মালিক প্রায় ১০০ জন গ্রাহককে রেশনের বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। রেশন ডিলার মালিক মহম্মদ রহমতউল্লাহ মাথা পিছু গ্রাহকদের ২০০ গ্রাম কম চাল আটা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কেন্না এলাকার প্রচুর গরীব মানুষ এই ঘটনায় বিক্ষোভ দেখান রেশন কেন্দ্রের সামনে।
গ্রামবাসীরা বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কথা ভেবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিনামূল্যে চাল, আটা, গম দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু রেশন ডিলার মালিক গরীবের প্রাপ্য কেড়ে নিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত, তাই গ্রামবাসীরা মালিক মহম্মদ রহমতউল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জাহির হোসেন ও গ্রামবাসীদের অভিযোগে রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া বন্ধ করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে মেমারি থানা থেকে পুলিশ আসার পর গ্রামবাসী ও ডিলারের সাথে কথা বলে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যেসব গ্রাহকরা ২০০ গ্রাম কম খাদ্য সামগ্রী পেয়েছিল তাদের পুনরায় আবার ন্যায্য ওজনের চাল ও আটা দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রী কালোবাজারী রুখতে কঠোর হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে রেশন ডিলারের এ হেন আচরণ সমাজের কাছে লোভ-লালসার এক চিহ্নমাত্র, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এব্যাপারে।