বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতাঃ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও শোভন চট্টোপাধ্যায় বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। লকডাউনের মধ্যে এক শিক্ষিকাকে উচ্চশিক্ষা দফতরের ওএসডি পদে বসানো নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই উঠে এল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখীর বৈঠকের পর যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা ফের অস্তাচলে যেতে বসেছে।
উচ্চশিক্ষা দফতরে নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের জেরে
বৈশাখী অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগকরেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষিকাকে বসানো হয়েছে উচ্চপদে। শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত শিক্ষামহল। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেই যদি মাথায় বসানো হয়, তাহলে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতেই কাঁদবে। কোনও সুবিচার মিলবে না।
শোভনকে একঘরে করতেই তুঘলকি সিদ্ধান্ত : বৈশাখী
আর এ প্রসঙ্গেই বৈশাখী অবতারণা করেন শোভন প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করতেই তুঘলকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরে কেন তড়িঘড়ি এমন নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি নেওয়া হল, প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। আমাকে একের পর একটা অপমান করা হচ্ছে। আমি সবই মাথা পেতে নিচ্ছি। আসলে এসব হচ্ছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে একঘরে করার জন্য।
মমতা সাক্ষাতের পরও কাটেনি অন্ধকার
সম্প্রতি বৈশাখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা ক্ষেত্রের দায়িত্ব রত্নার হাত থেকে নিয়ে শোভন ঘনিষ্ঠ এক কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়। ফের শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরার রাস্তা করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তারপরও সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।
তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সমস্যা
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে মিল্লি আল আমিন কলেজে নিয়োগ নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। তা ক্রমশই ঘণীভূত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ার পর্যন্ত ছুটেও সমাধান হয়নি সমস্যার। এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ কিছু বদল ঘটেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। তবে বিজেপিতে তাঁরা কেউই সক্রিয় হননি। তাঁদের ফের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।