নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাব অনুসারে রাজ্যে এই মুহুর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৯ এবং সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। যদিও নবান্নের হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে আক্রান্ত ৫০৪ জন ও চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০৯ জন।
আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান সমগ্র ভারতে লকডাউন ৩ মে’র পর কি হবে তার সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে কিন্তু হটস্পট গুলিতে লকডাউন জারি থাকবে। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্র পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছে লকডাউন নিয়ে। কোনও স্বচ্ছতা নেই। আমরা লকডাউনের পক্ষে। কিন্তু কেন্দ্র একদিকে লকডাউন জারি রাখার কথা বলছে। অন্যদিকে নির্দেশ দিচ্ছে দোকান খোলার। দোকান খুললে কী করে আপনি লকডাউন করবেন? আমি মনে করি কেন্দ্রের উচিত এবিষয়ে স্বচ্ছতা দেখানো।”
এমতাবস্থায় আজ বিকালে নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুস্পষ্টভাবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ২১ মে অবধি রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করে নজরদারি চালানো হবে ৷ রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে গোটা রাজ্যের সংক্রামিত এলাকাগুলিকে ভাগ করে একটি তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করেছে রাজ্য সরকার ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিন জোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চাই। স্বাস্থ্য দফতর এই নিয়ে শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করবে।’
তিনটি জোনের মধ্যে রেড জোনে কোনও ভাবেই বাড়ি থেকে বেরনো যাবে না, খাদ্যসামগ্রী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হোম ডেলিভারির দেওয়া হবে। অরেঞ্জ জোনে নিয়ম রেড জোনের থেকে শিথিল হবে এবং গ্রিন জোনে ওই বিধিনিষেধ আরও একটু কম করা হবে। যে সমস্ত এলাকায় এখনও কোনও সংক্রমণ হয়নি, সেটাকে আমরা গ্রিন জোন হিসেবে দেখা হলেও যদি গ্রিন জোনে সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, তবে তাকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসা হবে এবং অতি সংক্রমণের হলে রেড জোন।