বিশেষ প্রতিবেদনঃ এবার থেকে রাজ্যে কোনও রোগী জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্ট এই ধরনের কোনও উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে, সে মৃত্যু নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণেই হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পাঁচ জনকে নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর। জানা গেছে, যে কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর সমস্ত তথ্য আগে স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাতে হবে। সেখানকার বিশেষ কমিটি আগে সে সব খতিয়ে দেখবে। তার পরে নিশ্চিত করা যাবে, ওই রোগীর মৃত্যুর কারণ করোনার সংক্রমণ কিনা। রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় এই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পাঁচ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, রাজ্যের বর্তমান স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। বাকি তিন সদস্য হলেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সায়েন্সের প্রধান চিকিত্সক প্লাবন মুখোপাধ্যায়, পিজি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের প্রধান চিকিত্সক আশুতোষ ঘোষ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিত্সক জ্যোতির্ময় পাল। এই কমিটির কথা শুনে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে, কয়েক বছর আগে যখন রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছিল, তখনও এমনই একটি কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গির কারণেই মৃত্যু ঘটছে, নাকি মৃত্যুর কারণ অন্য কোনও জ্বর, তা খতিয়ে দেখত ওই কমিটি। এবারেও তেমনটাই হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকে। গত কয়েক দিনে রাজ্যে বেশ কিছু রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে বা পরে রিপোর্ট এসেছে, করোনা পজিটিভ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অন্যান্য অসুখেও ভুগছিলেন সংশ্লিষ্ট রোগী। তাই সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চিত করা যায়নি মৃত্যুর কারণ। এই ধরনের দ্বন্দ্ব বা বিভ্রান্তি এড়াতেই এই কমিটি অবিলম্বে কাজ শুরু করবে।