27/04/2024 : 2:36 AM
অন্যান্য

রোজ সকালে থানকুনি খান-সুস্থ থাকুন

পরাগ জ্যোতি ঘোষ

বাঁচা-বাড়াই ধর্ম। আজ এই দুঃসময়ে- এই বিষয়ক লেখা নিয়েই হাজির হলাম। শরীরের নাম গোপাল। তার মধ্যেই বাস করেন অনামী পুরুষ- তাকে কেউ ঠাকুর, কেউ আল্লাহ, কেউ বা গড বলে ডাকেন। আদপে যেটা দাঁড়ায় এই সাড়ে তিনহাত জমিটাকে ভালো করে চাষ করতে হবে।

দেহ শুদ্ধির বিষয়ে একটি চরমতম ঔষধ হলো। থানকুনি। শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র বলেছেন- আমি রোজ সকালবেলায় থানকুনি খেতে বলেছি। ও যে কত বড় ভালো জিনিস, না খেলে বোঝা যায় না। থানকুনির আর এক নাম অমৃতা। নামের সঙ্গে কাজের মিল আছে। অমৃতের মতোই কাজ করে। বড় Nerving (রসায়ণ)।

আমাদের শরীরে টক্সিন নামক ক্ষতিকারক পদার্থকে শরীর থেকে বের করতে সাহায্য করে এই থানকুনির রস। ফলে শরীরের Free Radicals কম উৎপন্ন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, মানুষ দেখতে সুন্দর হয়।

প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন গ্রন্থে থানকুনির উল্লেখ আছে। চরক সংহিতায় বিভিন্ন বনৌষধির গুনাগুন ও প্রয়োগবিধি উল্লেখিত আছে। থানকুনি সচারাচর দুরকমের দেখতে পাওয়া যায়। বড় থানকুনি যার বৈজ্ঞানিক নাম Centella Japonica।

গরীব মানুষের বসবাস বেশি ভারতে। আধুনিক ঔষধ সবসময় সবার ভাগ্যে জোটে না। কিন্তু মাঠে-ঘাটে একটু সন্ধান করলেই থানকুনির সন্ধান মেলে। এছাড়াও বাড়ির ছাদের এককোণে টবেও থানকুনির চাষ করে রেখে দেওয়া যায়। ভাবলে অবাক হতে হয় বণ্যপ্রাণী বাঘ সেও যখন আঘাত প্রাপ্ত হয় যেখানে থানকুনি পাতা আছে জঙ্গলের সেই জায়গায় গিয়ে তার ক্ষতস্থান ঘষে। এটা থেকে প্রমাণিত হয় ক্ষত নিরাময়েও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার।

এছাড়াও ডায়াবেটিস, মাড়ির রোগ ইত্যাদি নানা ব্যাপারে এর সুফল পাওয়া যায়। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র একশ বছর আগেই এটা বুঝেছিলেন- তাই তিনি সকলকে নির্দেশ দেন সকাল বেলায় খালিপেটে তিনটি থানকুনি পাতা ও এক পাত্র জল পান করতে। তাই আসুন সকলে মিলে সু-অভ্যাস গড়ে তুলি। মনে রাখবেন-

বাঁচতে নরের যা যা লাগে, ধর্ম বলে জানিস তাকে।

 

 

Related posts

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দশ কোটি টাকা অনুদান সৎসঙ্গ আচার্যদেবের

E Zero Point

করোনা পজিটিভ : মেমারি পাহাড়হাটীর ক্যানেল পুল এলাকা সীল করা হল

E Zero Point

অনলাইন রবীন্দ্র জয়ন্তী :~ লকডাউনে কবিপ্রণাম : দ্বিতীয় পর্ব (সকাল-১১টা)

E Zero Point