পরাগজ্যোতি ঘোষ : অনেকেই কয়েক দিন ধরে সৎসঙ্গের এই করোনা মোকাবিলায় কী-কার্যকলাপ – ঠাকুরবাড়ীর দরজা তো বন্ধ – ইত্যাদি নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন সোস্যাল মিডিয়ায়। অনেকে তো আবার নানা বিকৃত পোষ্টও করছিলেন। অথচ যিনি সারা বিশ্বের মঙ্গলকামনায় সদা ধ্যানময় সেই শ্রী শ্রী ঠাকুরের পতাকা বহনকারী শ্রী শ্রী আচার্যদেব ছিলেন আপন সাধনায় নীরব। আসলে ঠাকুরের আদর্শই হলো তিনি তাঁর দানের কথা প্রচার করতে ভালবাসতেন না। তিনি বলতেন দানের কথা প্রচার প্রচার করলে মনে অহঙ্কার আসে। আর তিনি তো দান করছেন না – আপন জনের জন্য করলে কি তাকে দান বলে! সেই ভাবধারায় অবিচল আচার্যদেবও তাই একই পথে চলেন। তাঁর নির্দেশে সৎসঙ্গ COVID-19 মোকাবিলায় PMCARES তহবিলে দশ কোটি টাকা অনুদান দিলেন। সারা বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীর প্রকোপ, ভারতবর্ষেও ক্রমশঃ বেড়ে চলেছে। সেই করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ত্রানতহবিলে সৎসঙ্গের এই অনুদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সকলের জানা দরকার – তাঁরই নির্দেশে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের অনুসারী ও অনুগামী সৎসঙ্গী বৃন্দ এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে নানা জায়গায় সরকার প্রদত্ত নির্দেশের আওতায় থেকে অনুদান কার্য চালাচ্ছেন। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলা যেতে পারে যারা প্রশ্ন তুলেছিলেন সৎসঙ্গের ভূমিকা নিয়ে- সৎসঙ্গ সব সময় মানুষের জন্য, মানুষের পাশে। তাই সরকারের নির্দেশ মেনেই বন্ধ আছে ঠাকুরবাড়ীর দরজা, বিভিন্ন কেন্দ্র ও বিহার গুলি। ধর্মীয় উন্মত্ততা নয় – বিজ্ঞান মনস্ক তপস্বীদের জায়গা হলো সৎসঙ্গ ঠাকুরবাড়ী। মনে রাখা দরকার – ” অন্যে বাঁচায় নিজে থাকে/ ধর্ম বলে জানিস তাকে।”