পরাগজ্যোতি ঘোষ; মঙ্গলকোট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মঙ্গলকোট ১ নং শিক্ষা চক্রের সমস্ত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে গত ২০ ই এপ্রিল থেকে ছাত্র-ছাত্রী প্রতি ৩ কেজি চাল ও ৩ কেজি আলু বিতরণের মাধ্যমে প্রাক প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মিড-ডে-মিল দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আজ ছিল তার শেষ দিন। এদিন প্রাথমিক স্তরে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র- ছাত্রীদের অভিবাবকদের চাল ও আলু বিতরণ করা হয়। উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাবকদের চাল ও আলু বিতরণ করা হয়। প্রতিদিনের মত এদিনও প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্যানিটাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে সকলের হাত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়। সয়ম্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষিকারা এ কার্য সম্পাদন করেন। প্রত্যেকেই মাস্ক পরিহিত ছিলেন। এদিন হঠাৎই পালিগ্রাম হাট পরিদর্শন করতে এসে মঙ্গলকোট থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুভাষ ভৌমিক সদলবলে হাজির হন পালিগ্রাম বি. এস. বিদ্যামন্দিরে। তারা এই বিদ্যালয়ের মিড-ডে-মিল বিতরণের প্রক্রিয়াটি অনেক্ষন ধরে তদারকি করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান জানান এদিন মঙ্গলকোট ১ নং চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাশয়ের কার্য্যালয়ের প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের ও শিক্ষা কর্মীদের সহযোগিতায় এই কার্য তারা সুষ্ঠু ভাবে সমাধান করেছেন। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় সভাপতি সামসুল হোদা। সহ শিক্ষক সব্যসাচী মুখার্জি জানান লকডাউনের মধ্যেও তিনি বাইক নিয়ে বোলপুর থেকে এসেছেন। কারণ এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মঙ্গলকোট ১ নং শিক্ষা চক্রের এডুকেশানাল সুপার ভাইজার অভিজিৎ ঘোষ জানান অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল ঘোষের নির্দেশে অফিসের সকল কর্মীদের সহযোগিতায় তারা শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতিনিয়ত মোবাইল হোয়াটস্ অ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তথ্য আদান প্রদান করে তা নির্দিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করে চলেছেন। এ বিষয়ে চক্রের শিক্ষক পবন ঘোষ ও স্পেশাল এডুকেটর শিবপ্রসাদ মণ্ডল প্রভূত সাহায্য করেন। এই লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিপালন করার জন্য সকলকে তিনি ধন্যবাদ জানান।