নিজস্ব সংবাদ, মেমারিঃ অবশেষে করোনা ভাইরাস রুখতে বাজারে আসতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি শহরের গর্ব বঙ্গ কন্যা দিগন্তিকার বিশেষ মাস্ক। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিগন্তিকা বোসের এর আবিষ্কৃত ” Air providing and virus destroying mask ” টি কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সমস্ত পরিক্ষা নিরীক্ষার পর সীলমোহর পরলো ।
গত ৩১ মার্চ জিরো পয়েন্ট-এ প্রথম প্রকাশিত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বঙ্গ কন্যা দিগন্তিকার বিশেষ মাস্ক আবিষ্কার | গবেষণায় দিগন্ত এনে দেবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানী মহল খবরে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মাস্কের ব্যাপারে ফোন ও কমেন্ট আসতে থাকে সোস্যাল মিডিয়াতে। আজ সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেল উৎসাহীরা।
দিগন্তিকার আবিষ্কৃত এই মাস্ক জরুরি পরিষেবায় যুক্ত মানুষ বিশেষ করে ডাক্তার , নার্সদের জীবন রক্ষার সহায়ক । এছাড়াও করোনা পজেটিভ রোগীরা এই মাস্ক পরলে তাঁর ত্যাগ করা ড্রপলেট থেকে করোনা ভাইরাসকে ধ্বংস করার পর বাইরে বেরোতে দেবে।এই মাস্ক উৎপাদন করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ভারত সরকার এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন – ইন্ডিয়ার দ্বায়িত্ব নিয়েছে। সংস্থার তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে যে দেশের বিপদে দিগন্তিকা তার উদ্ভাবিত মাস্ক ব্যবহারের সম্মতি দিচ্ছে কিনা। ইতিমধ্যেই দিগন্তিকা দেশের মানুষের কল্যাণে তার নিস্বর্ত সম্মতি জানিয়েছে ।
মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির শাখা -২ এর একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিগন্তিকা বোস, মেমারির পৌর এলাকার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। স্বভাবতঃ মেয়ের এই কৃতিত্বে খুশি পিতা সুদীপ্ত বোস ও মাতা শুভ্রা বোস। এই সফলতার জন্য দিগন্তিকা বোস আমাদের সাংবাদিকে দূরভাষে জানান যে, “আমি একাধিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু এই অনুভূতি একে বারে অন্যরকম। ভাইরোলজির মত বিষয় নিয়ে কাজ করা তা ও আবার বাড়িকেই গবেষণাগার বানিয়ে তৈরি করা মাস্ক সরাসরি করোনা যুদ্ধে অংশ নিতে চলেছে। দেশের জন্য কিছু করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এ এক অনন্য অনুভূতি।”
প্রসঙ্গত করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায় তার আবিষ্কৃত আরও তিনটি প্রকল্পের এর পরিক্ষা নিরিক্ষা কাজ চলছে ভারত সরকার এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ।
****************************************
দিগন্তিকার সমন্ধে আরও পড়ুনঃ করোনা সচেতনতায় মেমারির ক্ষুদে বিজ্ঞানী দিগন্তিকা | অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড সানিটাইজারের থেকে সাবান বেশি কার্যকরী