17/04/2024 : 7:15 AM
অন্যান্য

আগামী কাল রমজান মাসের শেষ রোজাঃ চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ সোমবার

নতুন পৃথিবী দেখতে চাই আল্লাহ

দেহতাত্ত্বিক সাধকরা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য-এই ষড়রিপুকে প্রতীকী অর্থে ‘ছয় চোরা’ বলেন। কোরআনের ভাষায় এদের বলে ‘নফস’।জুলেখার অনৈতিক প্রস্তাবে ইউসুফ (আ.) ফেঁসে না গিয়ে নফসের ওপর রুহকে কী করে বিজয়ী করেছেন তার সুন্দর বর্ণনাটি এমন-‘ওয়ামা উবাররিউ নাফসি।

ইন্নান্নাফসা লা আম্মারাতাম বিচ্ছুয়িন, ইল্লা মা রাহিমা রাব্বি। আমি নফসের বড়াই করি না। নিশ্চয়ই নফস খারাপের দিকেই ডাকে, তবে হ্যাঁ, যাকে আমার রব দয়া করেন তাকে ছাড়া।’ রবের দয়া লুফে নেয়ার জন্যই রমজান এসেছে, যা শুরুই হয়েছে ‘আউয়্যালুহু রাহমাতুন’ বলে। কিন্তু এ রহমত শুরুতেই সবার ভেতর বর্ষিত হয় না পাপের কারণে। তাই আল্লাহ নেক কাজ তওবা-ইস্তেগফারের উসিলায় ক্ষমা ও নাজাতের ফায়সালা করে দেন। আল্লাহ বলেন, ‘ক্বাদ আফলাহা মান তাজাক্কাহা।

তারাই সফল হয়েছে যারা নিজেরা বিশুদ্ধ হয়েছে।’ সুফিরা এ বিশুদ্ধতা বলতে নফস বা আত্মার বিশুদ্ধতা বলে থাকেন। নফস যে রোগে দ্রুত রোগাক্রান্ত হয় তা হল ‘ক্ষুধা’। সেটা দৈহিক বা জৈবিক দুটিই হতে পারে। এ দুটি ক্ষুধা যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাদের আল্লাহ দুনিয়া আখেরাতে সম্মানিত করেন। যেমন সুন্দরী রমণীর আহ্বান পেয়েও ইউসুফ (আ.) নিজেকে সুরক্ষা করেছিলেন।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে মানব জাতির পিতা আদম (আ.) কে বানানোর কারণে শয়তানের ভেতর হিংসার আগুন জ্বলা শুরু হয়। তাই প্রতিমুহূর্তে নফসকে ধোঁকা দিয়ে বনি আদমকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করতে চায়।

দয়াময় আল্লাহ মানুষকে তার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখার জন্য নানা ধরনের রক্ষাকবচ তৈরি রেখেছেন। যেমন করোনাকালে আমরা পরিচিত হয়েছি হ্যান্ড স্যানিটাইজারের সঙ্গে, যা ভাইরাসের ক্ষতি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের সুরক্ষা দেয়। তেমনি পাপের ভাইরাস থেকে মুক্তির স্যানিটাইজার হল তওবা-ইস্তেগফার।

যখনই গোনাহ হয়ে যাবে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে ফেলতে হবে। শয়তান প্ররোচনা দেবে এখনই তওবা করো না। বরং আরও কিছু মজা করে নাও। তারপর একসঙ্গে হজ-উমরা করে তাওবা করে আসবে।

কিন্তু শয়তানের কথায় সায় না দিয়ে তওবার পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাপ না করার ওয়াদা করতে হবে। দেখা যাবে এক সময় পাপের প্রতি ঘৃণা জন্মাবে। নতুবা হজ-উমরা করেও পাপ থেকে দূরে থাকা যাবে না।

পিপিই যেমন পুরা দেহকে ভাইরাসের পরিবেশ থেকে সুরক্ষা দেয়, তেমনি রমজান পাপ থেকে সুরক্ষার একটি পোশাক। এখন চলছে ইতেকাফের দশক। আমরা অনেকেই ইতেকাফে আছি। আল্লাহ যেন দ্রুত করোনাকালের সমাপ্তি ঘটান, বিশ্বমানবতার জন্য আমরা যেন করোনাকাল শেষে এক নতুন পৃথিবী উপহার পেতে পারি- আল্লাহর কাছে সেই কামনা করছি। (ঋণ স্বীকারঃ মঈন চিশতী)

Related posts

কেন্দ্রীয় সম্মান নিতে অস্বীকার আট বছরের খুদের

E Zero Point

পূর্ব বর্ধমানে ভাতারের আবার করোনা পজিটিভঃ কিছুদিন আগে হরিয়ানা থেকে যুবক ফিরেছিলেন

E Zero Point

তৃণমূল ছাত্রনেতার অন্নসামগ্রীদান মেমারির কৃষ্ণবাজারে

E Zero Point

মতামত দিন