25/04/2024 : 7:45 AM
অন্যান্য

পোস্ট অফিসের প্রতারণার শিকার হলো গ্রাহকরা

জিরো পয়েন্ট নিউজ – জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, পূর্ব বর্ধমান, ১২ জুন ২০২২:


অবশেষে মানুষের ভরসাস্থল পোস্ট অফিসের প্রতারণার শিকার হলো শতাধিক গ্রাহক। ঘটনাটি ভাতার থানার অন্তর্গত দাউড়ডাঙা পোস্ট অফিসের। জানা যাচ্ছে নিজেদের সুবিধার্থে দাউড়ডাঙা পোস্ট অফিসে বেশ কিছু গ্রাহক নিজ নিজ নামে অ্যাকাউন্ট খোলে। তারা নিয়মিত লেনদেন করত। পোস্ট মাস্টার টাকা জমা নিত এবং পোস্ট অফিসের স্ট্যাম্প সহ পাস বই আপডেট করেও দিত। কোনো সমস্যা ছিলনা। কিন্তু জনৈক গ্রাহক টাকা তুলতে গিয়ে দেখে তার পাসবইয়ে টাকা জমা থাকলেও পোস্ট অফিসের খাতায় কোনো টাকা জমা পড়েনি। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই অন্যান্য গ্রাহকরা পোস্ট অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকে। এমনকি টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করেও জমা রাখা টাকা আজও ফেরত পায়নি।

গ্রাহকদের ক্ষোভের কথা ডাক বিভাগের উপরমহলে পৌঁছালে জনৈক ইন্সপেক্টর ঘটনাস্থলে আসেন এবং সুপারভাইজারের সহযোগিতায় প্রতারিত গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো ডকুমেন্ট না দিয়ে পাসবইগুলি সংগ্রহ করেন। তিনি জমা অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে প্রতারিত গ্রাহকদের আশ্বাস দেন। যদিও বছর দশেক পার হতে গেলেও এখনো কোনো গ্রাহক তাদের জমা দেওয়া অর্থ ফেরত পাননি। তাদের আশঙ্কা হয়তো ডাক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাংশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য এতবড় প্রতারণার ঘটনা ঘটে গ্যাছে।

প্রতারিত গ্রাহক সন্তোষ কুমার ঘোষের কাছে পোস্ট মাস্টারের স্বাক্ষরযুক্ত যে ডকুমেন্ট আছে তাতে দ্যাখা যাচ্ছে ২০১৩ সালের ১৮ ই এপ্রিল পর্যন্ত তার পাসবইয়ে পঁচাশি হাজারের সামান্য বেশি টাকা জমা আছে। অথচ তিনি এখনো পর্যন্ত কোনো অর্থ ফেরত পাননি। সন্তোষ বাবু বললেন – আমরা সাধারণ মানুষ। নিরাপদ মনে করে পোস্ট অফিসে টাকা জমা রাখি। অফিসে নিজের চেয়ারে বসে পোস্ট মাস্টার টাকা জমা নিয়েছেন এবং অফিসের স্ট্যাম্প দিয়ে পাসবই ফেরত দিয়েছেন। ভিতরে কি ঘটনা ঘটছে সেটা আমাদের জানার বিষয় নয়। কিন্তু সেখানেও যে প্রতারণার ঘটনা ঘটবে সেটা বুঝতে পারিনি। তিনি আরও বলেন – টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে যে অফিসার আমাদের কাছ থেকে পাসবই সংগ্রহ করলেন তিনি তো আরও বড় প্রতারণা করলেন। আমার কাছে টাকা জমা দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও সবার কাছে সেটা হয়তো নাই। পাসবই শেষ ভরসা হলেও সেটাও প্রকাশ্য দিবালোকে হাতিয়ে নেওয়া হলো। ডাক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি অবিলম্বে সুদসহ আমাদের কষ্ট করে জমা অর্থ ফেরত দেওয়া হোক। নাহলে আমাদের হয়তো আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।

গ্রাহকদের দাবি মত পোস্ট অফিসের যে আধিকারিক গ্রাহকদের কাছ থেকে পাসবইগুলি সংগ্রহ করেছিলেন সেই প্রসেনজিৎ বাবুকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। এমনকি টেক্সট ম্যাসেজের কোনো জবাব দেননি। স্হানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে বর্তমানে দাউড়ডাঙা পোস্ট অফিসের মাটির ঘরটি ভেঙে গ্যাছে। ভারপ্রাপ্ত পিয়ন ধর্মরাজ তলায় বসে প্রয়োজনীয় সরকারি কাজ সারেন।

Related posts

মেমারির ছোট ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত, করোনায় মাটি গেল চৈত্র সেল, নববর্ষ

E Zero Point

রোজার যেসব উচ্চ মর্যাদা ও ফজিলত ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি

E Zero Point

আমফানঃ পূর্ব বর্ধমানে ৩৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

E Zero Point

মতামত দিন