এম. কে. হিমু : করোনা আতঙ্ক সাধারণ নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্তদের মধ্যে প্রসারিত। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার লডডাউন সফল করে করোনার বিরুদ্ধে জেতার প্রচেষ্টায় বিভিন্ন বিধিবদ্ধ কর্মে লিপ্ত। রাজ্যের এলাকায় এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও মাঠে নেমে পড়েছেন যুদ্ধ জয় করবার জন্য- এই যুদ্ধ করোনা নিয়ে সচেতনতা ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো যাতে লকডাউনের পরিস্থিতিতে তারা যেন অনাহারে না থাকেন।
সেরকমই এক সর্বভারতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের “আত্মদীপ”- মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেবা ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। স্বামী বিবেকানন্দের নর রূপে নারায়ণ সেবার আর্দশে তার গত ১ এপ্রিল থেকে কাঁচড়াপাড়া, খরদহের পাতুলিয়া সহ বিভিন্ন এলকায় লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে যাওয়া মানুষের পাশে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন। এপ্রসঙ্গে সংস্থার সভাপতি প্রসূন মৈত্র ধন্যবাদ জানান রহড়া ও বীজপুর থানার পুলিশকর্মীদের, যাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এই কার্যক্রম সফল হতে পারতনা।
আত্মদীপ সংস্থা থেকে প্রসূন মৈত্র জানান যে, শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও আমরা সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তিনি জানান সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান থেকে কর্মসংস্থানের জন্যে গুজরাটে যাওয়া শ্রমিকের মধ্যে ১০ জন সুরতে এবং ৬ জন বলসাডে আটক হয়ে পড়েন। গত ২ দিন তাঁদের খাবারেরও কোনও সংস্থান ছিলনা। এমতাবস্থায়, গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা আত্মদীপ-এর সাথে যোগাযোগ করেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের তাৎক্ষণিক কিছু আর্থিক সাহায্য দেয়া হয় এবং বিষয়টাতে প্রশাসনের উপযুক্ত মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বারডোলির বিধায়ক, প্রভুভাই ভাসাবা এবং বলসাডের সাংসদ ডঃ কে.সি. প্যাটেল আবলসাডেমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।