নূর আহমেদ, মেমারিঃ লকডাউনের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে দরিদ্র দিনমজুরদের। আর এইসব অসহায় মানুষের সবসময় পাশে থেকে এসেছে সিপিআইএম কর্মীরা। গত কয়েকদিন ধরেই মেমারি পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৫, ১১ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের নিম্নবিত্ত অসহায় দিনমজুরদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিল পার্টির সদস্যরা।
উল্লেখ্য গত ৭ এপ্রিল মেমারি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সিপিআইএম কাউন্সিলর মানু ভট্টাচার্য্য ও এলাকার সিপিআইএম কর্মীদের উদ্যোগে প্রায় দু’শটি দুস্থ অসহায় মানুষদের বস্তি এলাকার বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন। মাঠপাড়ার রেললাইনের ধারে বস্তি এলাকার গরিব পরিবাররা ত্রাণ সামগ্রী হাতে পেয়ে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কিন্তু অভিযোগও করেন যে পৌরসভা থেকে তাদের কোন সাহায্য করেনি। লকডাউনের ফলে কাজকর্ম নেই, বাড়ির বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, তাদের পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার কি করে তুলে দেবেন সেই চিন্তা। এই এলাকায় পরিবারের কিছু মহিলা পরিচারিকার, হোমগার্ড, মাঠের দিনমজুরের কাজ করেন, কিন্তু লকডাউনের জেরে সবকাজ বন্ধ। ৫ নং ওয়ার্ডে কমিটির সেক্রেটারি পিন্টু ভট্টাচার্য্য উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান সময় অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর কার্যত অসহায় অবস্থা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ক্লাব, শাসক দলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হলেও মেমারি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোন বাসিন্দার হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি। এমনকি পৌরসভার কোন আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধি এই এলাকা পরিদর্শনে আসেননি। তিনি অভিযোগ করেন, পৌরসভার পৌর প্রধানকে এলাকায় দেখা যায়নি এবং বিরোধী কাউন্সিলর হওয়ায় বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে এমনকি জি.আর. চালও এই ওয়ার্ডের গরীবদের মধ্যে বিলি হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেন যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির উর্দ্ধে থেকে করোনা বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে বলছেন সেখানে কয়েকদিন আগে দলীয় পতাকা লাগিয়ে বিধায়িকা, ভাইস চেয়ারম্যান, দলীয় কর্মীদের নিয়ে রীতিমত জমায়েত করে কিছু সংখ্যক মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
প্রসঙ্গত সমস্ত অভিযোগ সম্পর্কে মেমারি পৌরসভার পুরপিতা স্বপন বিষয়ী ও উপ-পৌরপ্রধান সুপ্রিয় সামন্তর সাথে যোগাযোগ করা হলে, সমস্ত অভিযোগ তারা খণ্ডন করেন এবং বলেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা রাজনীতি চান না তারা সবসময় মানুষের পাশে আছেন। রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের জন্য সরকারের বিভিন্ন ঘোষনা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে। যাদের রেশনকার্ড আবেদন করা ছিল তাদেরকে কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে এবং যাদের রেশনকার্ড নেই তাদেরকে ফুড স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। কোন দরিদ্র মানুষ অভাবে থাকবেন না।