মোল্লা জসিমউদ্দিন, কলকাতাঃ বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে যে কয়েকটি মামলা উঠেছিল জরুরি শুনানির জন্য। তার মধ্যে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের আবেদন মামলাটি অন্যতম।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় গত ১৬ মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালত একপ্রকার অচল। তবে রাজ্যের আদালতগুলির এসিজেম এজলাসে শুধুমাত্র জামিন / অভিযুক্তদের পেশ সংক্রান্ত পিটিশন দেখা হচ্ছে। সেইসাথে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ বিশেষ বেঞ্চ জনস্বার্থ সহ গুরত্বপূর্ণ মামলাগুলি শুনছে। তবে সমগ্র বিচার প্রক্রিয়াটি ভিডিও কনফারেন্সে শুনানি চলছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বিশেষ বেঞ্চে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিনের শুনানি চলে। পিনকন কোম্পানির মালিক মনোরঞ্জন রায়, এমপিএস কোম্পানির মালিক প্রমথনাথ মান্না এবং পৈলান গ্রুপের মালিক অপূর্ব সাহার জামিনের আবেদনে শুনানি হয়। মনোরঞ্জন রায়ের পক্ষে আইনজীবী দেবাশীষ রায় সওয়াল করেন। প্রমথনাথ মান্নার পক্ষে তাঁর মেয়ে সওয়াল করেন ভিডিও কনফারেন্সে। সেখানেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দেয়। জামিনের পক্ষে যুক্তি হিসাবে এঁদের শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করা হয়। এমপিএসের মালিক প্রমথনাথ মান্নার ডায়াবেটিস রোগ রয়েছে, তাছাড়া জেলে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে বলে দাবি ও রিপোর্ট দেখানো হয়। সেখানে বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ গত ১ এপ্রিলে শুনানির সময় দমদম জেল সুপারের রিপোর্ট চেয়েছিল। সেখানে আজ সেই রিপোর্টে কোন নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় জেলখানার তরফে। তবে চিটফান্ড কর্তার মেয়ের আর্থিক সঙ্গতি খারাপের উদাহরণ শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ আরজিকর হাসপাতালে এমপিএস কর্তার চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দেয়। তবে তিন চিটফান্ড কর্তার জামিন খারিজ করে দিলেও বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানিয়ে দেয় – শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তারা পুনরায় এখানে আবেদন করতে পারবেন জামিনের জন্য।
পূর্ববর্তী পোস্ট