নূর আহমেদ ও সেখ নূরুল হুদা : ধানের গোলা পূর্ব বর্দ্ধমান জেলার মেমারি ব্লক আলু চাষে ও বোরো ধান চাষে খুবই উন্নত। তাই এখানে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভূম থেকে সারা বছর ই প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক আসে। এবারে বিশেষকরে আলু তুলতে আসা ঐ সমস্ত জেলার বেশ কয়েকটি পরিবার সহ প্রায় সাতশো শ্রমিক শুধু দেবীপুর অঞ্চলের পুণ্যগ্রাম, বাগগরিয়া, দেবীপুর, ছালালপুর, ছোটধামাস, পলতা ও তাহেরপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে লক ডাউন এর ফলে আটকে রয়েছে। এখন এদেরকে দেবীপুর পঞ্চায়েত ও কয়েকটি গ্রামের মানুষ খাবার সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছে। তারই অঙ্গ হিসাবে আজ পুণ্যগ্রাম শ্রীকৃষ্ণানন্দ আশ্রম গ্রামবাসী ও ভক্তবৃন্দের সহযোগিতায় রান্না করা খাবার গাড়িতে করে ১৬টি গ্রামে ছড়িয়ে থাকা শ্রমিকদের নিয়ম মেনে মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পৌঁছে দেয়। সকলের সাথে উপস্থিত আশ্রমের প্রধান বাবাজী কৃষ্ণনন্দ বাল্য ব্রম্ভচারী বলেন, “ চিরন্তন সত্য ভক্তের মাঝেই ভগবান শ্রী শ্রী নীলমাধাব এর অবস্থান। তাই অসহায় মানুষের পাশে এখনই তো সেবা করার সঠিক সময়। এই বিপদের সময় একটু কিছু করতে পেরে আশ্রম ধন্য।“ উপস্থিত ছিলেন বাবাজী সনৎ ব্রম্ভচারী ও সহযোগী ভক্তবৃন্দ।
সরকারি অনুমতি ও সমন্বয় সাধনে নিজে উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন, মেমারী-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সহসভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য পুণ্যগ্রাম বাসী আব্দুল হাকিম মহাশয়। তিনি জানান, “ দুপুরের খাবার দুপুর দেড়টার মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। দেবীপুর পঞ্চায়েত দুদিন রান্না খাবার দেয়। এছাড়া তারা সরকারিভাবে মাথাপিছু তিন কেজি চাল ও তিনশো পঞ্চাশ গ্রাম ডাল পেয়েছে। বিভিন্ন গ্রামবাসীও তাদের পাশে সর্বদা সাহায্য নিয়ে হাজির আছে”।