বিশেষ সংবাদদাতাঃ দুর্নীতি, কালোবাজারি বন্ধ করে মানুষকে ন্যায্য রেশন পৌঁছে দিতে হবে। মিথ্যা নয়, সঠিক তথ্য চাই। রাজ্য জুড়ে নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে, সমস্ত তথ্য মানুষের সামনে আনতে হবে। রেড রোডের প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচী থেকে গ্রেপ্তার করা হলো কমরেড সূর্যকান্তদ্ধ মিশ্র, মহঃ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী সহ বাম নেতাদের।
এদিন রেড রোডে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন বামফ্রন্ট সম্পাদক বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম, বাম পরিষদীয় নেতা সূজন চক্রবর্তী-সহ একাধিক নেতা-কর্মী। স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী, দূরত্ব বজায় রেখে তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের জেরে গরিব-দুস্থ মানুষের ঠিকভাবে ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না, রেশন নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে, এমনকী লকডাউন সঠিক ভাবে পালন হচ্ছে না সর্বত্র। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে বামফ্রন্ট। রাজ্যে করোনার টেস্ট ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে না বলেও তাঁরা অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টে দুটি মামলাও দায়ের করেছেন ফুয়াদ হালিম, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো সিপিএম নেতারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন বাম নেতারা। তা সত্ত্বেও অভিযোগ, রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মতো পদক্ষেপ করছে না। তাই এদিন বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এদিন রেড রোডে ১৫ মিনিট অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বাম নেতৃত্ব। পুলিশের পালটা অভিযোগ, বারবার সরে যেতে বলা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা লকডাউন ভাঙতে অনড় ছিল। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও বামেদের অভিযোগ, পুলিশই অতি সক্রিয় হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম ভেঙে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে।