বিশেষ প্রতিবেদনঃ ঝাড়খন্ড যদি তেলেঙ্গানা থেকে ট্রেনে ১২০০ শ্রমিককে ফিরিয়ে আনতে পারে, তাহলে পশ্চিমবাংলা কেন পিছিয়ে থাকবে? রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর উচিত এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা।
শুক্রবার ১২০০ পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে তেলেঙ্গানা থেকে ঝাড়খণ্ডের রওনা দিয়েছে ট্রেন। এদিন ভোর ৪টে ৫০ নাগাদ তেলেঙ্গানার লিংগমপল্লী থেকে ঝাড়খণ্ডের হাটিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আজ পৌঁছেছে ট্রেন।
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। অধীর বলেছেন, “অন্যান্য রাজ্য যখন ট্রেনে করে পরিযায়ী শ্রমিক-পড়ুয়াদের তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ কি করছে? মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন। উনি তো রেলমন্ত্রীও ছিলেন। যেখানে কথা বললে কাজ হবে, সেখানে কথা বলুন। অসহায় মানুষগুলোকে তো আমাদের এই সহযোগিতাটা করতেই হবে।”
লকডাউনের কারণে দেশের নানা প্রান্তে যারা আটকে পড়েছেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর দাবি ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। শুধু রাজ্য সরকারগুলি নয়, স্থানীয় সাংসদরাও দেশের নানা প্রান্তে আটকদের ঘরে ফেরাতে চাপের মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, পরিযায়ী শ্রমিক, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য যারা বিভিন্ন রাজ্যে আটকে আছেন তাদের ফেরানোর ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক প্রথমে সড়কপথে বাসে আসার আনুমতি দিয়েছিল কিন্তু কিছু রাজ্য সড়কপথে বাসে আনা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে স্পেশাল ট্রেনের দাবী করেছিলেন। গতকাল এক নোটিফিকেশনে ট্রেনে নিয়ে আসার অনুমতি দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তার সাথে রাজ্যকে ঠিক করতে বললেন তার পরিকল্পনা কি হবে। এখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায় কি করেন সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ভিনরাজ্যে আটকে থাকা মানুষ।