17/04/2024 : 8:57 AM
অন্যান্য

রেশন নিয়ে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগঃ পূর্ব বর্ধমানে বিভিন্ন রেশন ডিলারের কারচুপি

সুব্রত চক্রবর্তী, পূর্ব বর্ধমান:  বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত গোলমাল ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোথাও রেশনে খাদ্য সামগ্রী ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ আবার কোথাও ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও রেশন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে  ডিলারের বিরুদ্ধে। রাজ্য খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রেশন সামগ্রী কম আসায় অনেকক্ষেত্রেই চাল, ডাল, আটা কম পরিমাণে দিতে হচ্ছে  ফলে গ্রাহক অসম্তুষ্ট হচ্ছেন। করোনার প্রকোপে লকডাউন পরিস্থিতিতে  যে দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে  কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত  ২০ জন রেশন ডিলারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যে ও বাতিল করা হয়েছে লাইসেন্সও। বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, মুর্শিদাবাদ সহ পশ্চিম বর্ধমানে রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করলেন গ্রাহকরা।

গত শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের রেশন ডিলার আরজিয়া বেগম যেমন পুরাতন কার্ডে মাল দেয়নি বলে গ্রাহকেরা বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে এবম ডিলারকে না পেয়ে তার মেয়েকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।মেমারি-১ ব্লকের দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের বড়র গ্রামের ডিলার আলাউদ্দিন মল্লিক যেমন একজন গ্রাহকের AAY কার্ডে পরিবার পিছু প্রাপ্য ৩৫ কেজি রেশন সামাগ্রীর মধ্যে ১০ কেজি কম দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর গ্রাহকেরা বিক্ষোভ দেখায় এবং পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস দেওয়া হয়।

অন্যদিকে শনিবার সকালে বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগান এলাকায় এক ডিলার রেশনে কম সামগ্রী দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায়ও উত্তেজনা ছড়ায়।

আজ সকালে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার চৌবেড়িয়া এলাকায় রেশন ডিলার সুবীর নন্দী রেশন দোকান থেকেই ওজনে কারচুপি করছিলেন বলে অভিযোগ আসে। সংবাদ সূত্রে জানা যায় যে, AAY কার্ডে পরিবার পিছু প্রাপ্য ৩৫ কেজি রেশন সামাগ্রীর মধ্যে প্রত্যেক গ্রাহককেই ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম কম দেওয়া হয়। সেই খবর সংগ্ৰহ করতে গিয়েই রোষের মুখে পড়তে হল এক সাংবাদিকে । কেন কম দেওয়া হচ্ছিলো ওজনে তার উত্তরে ডিলার বলেন ” কম হতেই পারে, তেমন কিছু নয় “। পরে অবশ্য গ্রাহকদের বিক্ষোভে দোকানের সামনে ভিড় জমে যাওয়ার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির জামালপুর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে পুনরায় ওজন করে কম দেওয়া চাল গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

সম্প্রতি পূ্র্ব বর্ধমানে বৈঠক করে রেশন ডিলারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছেন খাদ‍্যমন্ত্রী জ‍্যোতিপ্রিয় মল্লিক । কোনভাবেই কম পরিমান দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি । জেলাশাসক ও সতর্ক করেছেন সমস্ত ডিলারদের । তবুও কারচুপি ! মহামারী র এই দুঃসময়েও কেন এই কারচুপির প্রবণতা সেটাই বড় প্রশ্ন !

মেমারি পৌরশহর তথা আশেপাশের এলাকায় এখনও পর্যন্ত কোন রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসেনি কিন্তু রেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব পালন করা হচ্ছে না। লকাডউনের নিয়মনীতি মেনেই গ্রাহক ও রেশন ডিলারের মধ্যে সমন্বয় সাধন হলেই করোনার প্রকোপ থেকে যে লকডাউন বাড়ানো হয়েছে তা সফল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মানুষের সুবিধার্থে গ্রাহকের প্রাপ্য রেশনের খাদ্য সামগ্রীর সূচী দেওয়া হলঃ

 

Related posts

যেমন দেখি তাঁকে : পরাগজ্যোতি ঘোষ ~ (দ্বিতীয় কিস্তি)

E Zero Point

অন্য রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে ফেরাতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ পারছে না কেন, প্রশ্ন অধীরের

E Zero Point

আজ থেকে পবিত্র রমজান মাসঃ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার থেকে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান

E Zero Point

মতামত দিন