পরাগ জ্যোতি ঘোষ, মঙ্গলকোট : মঙ্গলকোটে লকডাউন এর শিথিলতা চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যে দোকানগুলি এতদিন বন্ধ ছিলো সেই দোকানগুলি খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই সেখানে প্রচুর জমায়েত হচ্ছে। তার ফলে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভবপর হচ্ছে না। কেউই তেমন ভাবে মানছেন না এই নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব। এছাড়া কারো মুখেই মাস্ক পড়া তেমনভাবে নজরে পড়ছে না। কেউ কেউ গলায় ঝুলিয়ে রেখেছেন শুধুমাত্র লোক দেখানোর মত। এখানকার হার্ডওয়ার্স দোকানগুলি থেকে যখন কোন ট্রাক্টরের সিমেন্ট বা রড ইত্যাদি লোড-আনলোড হচ্ছে তখন লেবাররা মাস্ক পড়ছেন না। সেই ছবি ধরা পরল প্রতিবেদক এর ক্যামেরায়। চায়ের দোকানগুলোতে একই চিত্র। আবার অনেক শিক্ষিত মানুষ তেমনভাবে গুরুত্বই দিচ্ছেন না মাস্ক পড়ার বিষয়ে। অন্যদিকে অনেক অশিক্ষিত খেটে খাওয়া মানুষরা মাস্ক পড়ছেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন।মঙ্গলকোট থানার পুলিশ সকালবেলায় রুটিন চেকআপ এর মত একবার করে আসছেন কিন্তু সেটা যে যথেষ্ট নয় তা অনেকেই মনে করছেন। তারা বলছেন মানুষ যদি সচেতন না হয় আর প্রশাসন যদি কড়া পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এখানকার করো না পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। তাই সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত নামেই লকডাউন মঙ্গলকোটে বাস্তবে তার ছিটেফোঁটাও নজরে পড়ছে না। দুটি দোকানের দুটি ভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া গেল। শংকর বৈরাগ্যের চায়ের দোকানে দেখা গেল দোকানদার এবং খরিদ্দার সুন্দরভাবে মাস্ক করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রয়েছেন। অপর একটি চায়ের দোকানে দেখা গেল কেউ কেউ পড়ে রয়েছেন কেউ কেউ পড়ে নেই মাস্ক। সেখানে গালগল্প চলছে বহাল তবিয়তে।একজন তো মাস্ক না পরে রয়েছেন যিনি আবার নিজেই মাস্ক তৈরি করেন। আবার একটি হার্ডওয়ারের দোকানে দেখা গেল সেখানকার লেবাররা মাস্ক না পড়া মালিকের সাথে ঘেষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সরকার যেখানে বলছেন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ কর্ম বজায় রাখতে সেখানে মানুষ যদি সেটা মেনে না চলেন তাহলে অচিরেই এলাকায় করোনার ভয়াবহ ছবি ডেকে আনতে পারে তারা। তাই প্রশাসনের আরো বেশি করে নজর দেওয়া দরকার এই আইন না মেনে চলা দোকানগুলি প্রতি।
পূর্ববর্তী পোস্ট