বিশেষ প্রতিনিধিঃ যেহারে দেশের বিভিন্ন জেলাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ২০টি কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য দল গঠন করেছে। কোভিড – ১৯ সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি দেশের এমন ২০ টি জেলায় এদের পাঠানো হবে । এই জেলাগুলি হলঃ –
১) মুম্বাই, মহারাষ্ট্র। ২) আহমেদাবাদ, গুজরাট। ৩) দিল্লি (দক্ষিণ – পূর্ব) । ৪) ইন্দোর, মধ্যপ্রদেশ। ৫) পুণে, মহারাষ্ট্র।
৬) জয়পুর, রাজস্থান। ৭) থানে, মহারাষ্ট্র। ৮) সুরাট, গুজরাট। ৯) চেন্নাই, তামিলনাডু। ১০) হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা।
১১) ভোপাল, মধ্যপ্রদেশ। ১২) যোধপুর, রাজস্থান। ১৩) দিল্লি (সেন্ট্রাল)। ১৪) আগরা, উত্তরপ্রদেশ। ১৫) কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ।
১৬) কুরনুল, অন্ধ্রপ্রদেশ। ১৭) ভাদোদরা, গুজরাট। ১৮) গুন্টুহর, অন্ধ্রপ্রদেশ। ১৯) কৃষ্ণা, অন্ধ্রপ্রদেশ। ২০) লক্ষ্মৌ, উত্তরপ্রদেশ।
এই ২০ জেলায় যে বিশেষ কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হচ্ছে সেই দলে থাকছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, ভাইরোলজিস্টরা। এই দলগুলি কোভিড – ১৯ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সংক্রমিত জেলা ও শহরে বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সাহায্য করবে। এই দলগুলি রাজ্য সরকারকে সবরকমের সহযোগিতা করবে।
রাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, কলকাতার জন্য নিযুক্ত দলে থাকছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর প্রধান মধুমিতা দোবে এবং এই সংস্থারই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আঞ্চলিক ডিরেক্টররা কেন্দ্রীয় দলের গতিবিধি ঠিক করবেন। এ দিন বিকেল তিনটেয় ভিডিয়ো কনফারেন্স করে তাঁদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবকে তাঁদের রিপোর্ট দেবেন। তাঁদের খরচ বহন করবে তাঁরা নিজেরা যে সংস্থায় কর্মরত, সেই সব সংস্থা।