নূর আহামেদ, মেমারিঃ গতকাল মেমারির সোমেশ্বরতলায় এক ব্যক্তির করোনা আক্রান্তের পর আজ মেমারি শহর তথা সোমেশ্বরতলার কনটেনমেন্ট জোনে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারী করা হল। মেমারি বামুনপাড়া মোড় থেকে ড্রোন উড়ানো হয়।
পূর্ব বর্ধমান জেলার এসডিপিও আমিনূর ইসলাম খান জানান কনটেনমেন্ট জোনে আজ ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারী করে দেখা হল যে কেউ ঘরের বাইরে বেড়িয়েছেন কিনা। আজ থেকে ২১ দিন কনটেনমেন্ট জোনে মাঝে মাঝেই ড্রোন উড়িয়ে দেখা হবে এলাকাবাসীর গতিবিধি। আজ সকালে জরুরী পরিষেবা দেওয়া হয়েছে সোমেশ্বরতলার এলাকাবাসীর মধ্যে কিন্তু আগামীকাল থেকে কনটেনমেন্ট জোনে নিত্য প্রয়োজনী খাদ্যসামগ্রীর গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার সি.আই. শ্যামল চক্রবর্ত্তী বলেন, গোটা ঘটনায় মেমারি বাসী সচেতন থাকুন, লকডাউনের নিয়ম মেনে চলুন। অযথা বাজারে ভিড় করবেন না। তিনি বলেন কনটেনমেন্ট জোনে কোন দোকান খোলা থাকবে না কিন্তু মেমারি শহরের অন্যান্য সব দোকান নিয়ম মেনে খোলা থাকবে। তবে বাজারে কোনরকম ভিড় করবেন না, জরুরী কাজ মিটে গেলেই ঘরে চলে যাবেন।
মেমারি থানার ওসি সুদীপ্ত মুখার্জী সোমেশ্বরতলার কনটেনমেন্ট জোনে এলাকাবাসীদের মাইকিং করে জানান যে, আগামী ২১ দিন ঘরের বাইরে আসবেন না। বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে পুলিশকে ফোন করুন। এছাড়াও উদ্দেশ্যহীন ভাবে কেউ ঘোরাঘুরি করলে আইননত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল থেকেই কনটেনমেন্ট জোনে মেমারি থানার সমস্ত পুলিশ আধিকারীক ও কর্মীবৃন্দ, সিভিক পুলিশ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে কনটেনমেন্ট জোনে পাহাড়া দিচ্ছেন এবং তার সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও জরুরী মেডিসিন সরবরাহ করছেন। কনটেনমেন্ট জোনে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারীর সময় সামিল ছিলেন মেমারি পুলিশের অভিজিৎ চ্যাটার্জী, বুদ্ধদেব ঘোষ, শান্তনু রায় চৌধুরী।