পরাগ জ্যোতি ঘোষঃ আজ বেনাচিতি হাই স্কুল 1999 উত্তীর্ণ গ্রুপের পক্ষ থেকে দুর্গাপুরের মলানদিঘিরকাছে আকন্দরা গ্রামে প্রায় 240 জন দুঃস্থ গ্রামবাসীকে সোয়াবিন ডাল মুড়ি আমুল দুধ আলু বিস্কুট ও সাবানের প্যাকেট তুলে দিলেন গ্রুপটি। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং সদ্য গড়ে ওঠা এই গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা প্রায় 46 ।সেই কবে বিদ্যালয়ের গন্ডি শেষ হয়ে গেছে 1999 সালে।তারপর সকলেই হারিয়ে গেছেন নিজ নিজ কর্মের প্রয়োজনে আবার কেউবা এখন থাকেন শ্বশুরবাড়িতে। হোয়াটসঅ্যাপের দৌলতে আবার সকলের কাছাকাছি আসা আর সেখান থেকেই গ্রুপের ফর্মেশন।অবসর সময়ে সকলে মিলে ভাবের আদান-প্রদান। সুদূর অহিও সিটিরকলম্বাসে থাকেন নিশিকান্ত বিদ পুনেতে অচিন ।মৃন্ময় রাজিব সবিতাব্রত সুমন সৌরভ সুকান্ত দুর্গাপুরেথাকেন ।নিজের নিজের পেশায় সকলেই প্রতিষ্ঠিত । লক ডাউন এর মধ্যে তারা উদ্যোগ নেন দুস্থ মানুষদের জন্য কিছু করার ।প্রস্তাব রাখেন তাদের গ্রুপে ।সকলেই সেই ডাকে সাড়া দেন। প্রবল উৎসাহে শ্বশুরবাড়িতে থাকা নবনীতা পরিণীতা হাসিনা রুবি শিখা সাথী শুভ্রা। প্রত্যেকের নাম হয়তো সংবাদে উল্লেখ করা সম্ভব নয় কিন্তু একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা গ্রুপের সকল সদস্যরাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই মহান কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছেন ।দুর্গাপুরে থাকা বন্ধুদের একাউন্ট এ যার যেমন সামর্থ্য অনুদান রূপে পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রতিনিয়ত নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত দু’দিন ধরে তারা সামগ্রী প্যাকিং করেছেন ।আজ সকালে ভোর বেলায় তারা বেরিয়ে পড়েন আকন্দ রা গ্রামের উদ্দেশ্যে। লকডাউন এর নিয়ম-নীতি মেনে গ্রামের মানুষজনদের সামগ্রী বিলি করেন আবার ফেরার পথে কিছু বিলি না হওয়া প্যাকেট তারা এক মন্দিরের সামনে বসে থাকা অন্ধ ব্যক্তিদের বিতরণ করে দেন ।তারা বলেন তাদের সকলের সঙ্ঘবদ্ধ প্রয়াসেসামান্য যা কিছু তারা তুলে দিতে পারলেন তার জন্য তারা কৃতজ্ঞ এই সকল দুঃস্থ মানুষদের কাছে ।প্রচারবিমুখ এই গ্রুপটিকে দেখে বড় অবাক হতে হয় ।কে বলে ভালোবাসা হারিয়ে যায় দূরত্বের ফলে। এদের দেখে শিখতে হয় ভালবাসার গ্রুপ কাকে বলে ।আজীবন বেঁচে থাকবে বেনাচিতি 1999 উত্তীর্ণ এই গ্রুপটা গ্রামের গরীব মানুষগুলোর অন্তরে।
পূর্ববর্তী পোস্ট