পরাগ জ্যোতি ঘোষ, গুসকরাঃ নামেই লকডাউন বাস্তবে কোন মিলই নেই কথার সাথে কাজের। গুসকরা পৌর সভার এলাকাগুলিতে এমনটাই নজরে পড়ছে ।এদিকে আবার প্রশাসন থেকে বাজার খোলা-বন্ধের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। দোকান গুলির খোলা-বন্ধের সময়সীমা এক মিনিট এদিক ওদিক হলেই কড়া শাস্তি ও চলছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর আরো ভয়ঙ্কর নজরদারি ।কিন্তু যেটুকু সময় দিনের বেলায় খুলে দেওয়া হয়েছে সেটুকু সময় যেন খোয়ার থেকে আটকে থাকা প্রাণীদের কেউ ছেড়ে দিয়েছে ।এমন অবস্থা ছবিতেই স্পষ্ট হচ্ছে ।আজকের দিনের বেলার বাস্তব চিত্র। পুলিশের গাড়ি ও নজরে পড়ছে মাঝে মাঝে ।তাদের উপস্থিতি ভিড় খানিকটা হালকা করলেও পুলিশ চলে গেলে একই চিত্র ।এক কথায় আগুনের গোলার উপর অবস্থান করছে গুসকরা পৌরসভার মানুষজন। স্থানীয় মানুষজনদের বক্তব্য দিনের বেলায় এমন লাগালাগি পরিবেশ করে আর রাতের বেলায় শাসন দেখিয়ে লাভ কি ।পুলিশ আসলে গুসকরা পৌরসভায় সেভাবে মানুষের মনে করোনা সচেতনতা জাগাতে পারেনি। কাগুজে বাঘ এর মতন দিনের বেলায় টহলদারি অচিরেই সর্বনাশ ডেকে আনছে গুসকরায় ও তার পাশাপাশি এলাকার তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।রাতের বেলা তো কোথাও কোথাও গোপন মিলছে সবকিছু ।অনেক দোকানের মালিকরা সং এর মত রাতের বেলা দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকছেন আর খদ্দের এলেই ফাঁকফোকর দিয়ে বেচাকেনা চালাচ্ছেন ।কে বা কারা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাও অজানা। তবে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো প্রশাসন যে অচিরেই গুসকরার বুকে বিপদ ডেকে আনছে তা খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে গুসকরা প্রশাসন একথা মনে করছেন গুসকরা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সচেতন মানুষজন।