09/05/2024 : 1:16 AM
অন্যান্য

সবশ্রেণীর শিল্পোদ্যোগে ব্যাঙ্ক ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় সরকারঃ অর্থমন্ত্রী

  • অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) সহ ব্যবসা বাণিজ্যে আপৎকালীন কার্যকরী ৩ লক্ষ কোটি টাকার মূলধনের ব্যবস্থা।
  •  সংকটে থাকা  এমএসএমই-গুলির জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণ।
  • এমএসএমই-র তহবিলে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইক্যুইটি যোগান দেওয়া।
  • এমএসএমই-র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ সহ বেশকিছু পদক্ষেপ।
  • ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারী টেন্ডারে এখন আর বিদেশী সংস্থাগুলি অংশগ্রহণ করতে পারবে না। অর্থাৎ ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের জন্য কোনো গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হবে না।
  • জুন, জুলাই ও আগষ্ট ২০২০-র জন্য কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল (ইপিএফ)-এর থেকে আর্থিক সহায়তা পাবেন সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা।
  • কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে আগামী ৩ মাস মালিক পক্ষ এবং কর্মচারীরা ইপিএফ বাবদ প্রদেয়  বেতনের ১২ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ  জমা দেবেন।
  • নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি), গৃহঋণ দেওয়া সংস্থা (হাউজিং ফিন্যান্স কোম্পানি – এইচএফসি) এবং মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) গুলির জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকার বিশেষ মূলধনের ব্যবস্থা।
  • ডিসকমগুলির জন্য ৯০,০০০ কোটি টাকার মূলধনের যোগান।
  • ঠিকাদারদের জন্য ইপিসি এবং বিভিন্ন চুক্তির ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলি শেষ করার সময়সীমা ৬ মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • গৃহনির্মাণ প্রকল্প অর্থাৎ রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্টগুলির জন্য বিশেষ ছাড় – সমস্ত নিবন্ধীকৃত প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ৬ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
  •  ব্যবসা ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুযোগ হিসাবে দাতব্য প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট নয় এরকম প্রতিষ্ঠানগুলির বকেয়া আয়করের টাকা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
  • ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষের বাকি সময়ের জন্য টিডিএস এবং টিসিএস-এর হার ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে ।
  • বিভিন্ন কর জমা দেবার সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, গতকাল ২০ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক ও সর্বাত্মক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেন। এই অর্থের পরিমাণ দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশ। তিনি, ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর ডাক দিয়েছেন। যার ৫টি মূল স্তম্ভ হল – অর্থনীতি, পরিকাঠামো, ব্যবস্থাপনা, প্রাণবন্ত জনবিন্যাস ও চাহিদা।

কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী  নির্মলা সীতারমন, আজ সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতে জানান, প্রধানমন্ত্রী গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে একটি সর্বাত্মক রূপরেখা উপস্থাপন করেছেন। তিনি আরো বলেন, কোভিড – ১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে, আর্থিক প্যাকেজের বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী, নানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য এই আর্থিক প্যাকেজকে তাই ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ বলা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। শ্রীমতী সীতারমন বলেন, ভূমি, শ্রমিক, মূলধন এবং আইনের ওপর  মূল নজর থাকবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার, বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য নানা সময়ে শুনে আসছে। ২০১৪ সাল থেকে যে সব সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকটির পরিবর্তন করা হবে।

শ্রীমতী সীতারমন বলেন, “২০২০ সালের বাজেট পেশের পর কোভিড – ১৯ এর সঙ্কটের বিষয়টি সামনে আসে। প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের ঘোষণার পরই ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’ (পিএমজিকেওয়াই) ঘোষণা করা হয়েছে।  আজ থেকে আগামী কয়েকদিন আমি অর্থমন্ত্রকের সব সদস্যদের সঙ্গে আপনাদের কাছে আসবো। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের যে রূপরেখা গতকাল জানিয়েছিলেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আপনাদের জানাবো।”

শ্রীমতী সীতারমন আজ ঘোষণা করেন, মালিক এবং কর্মচারীরা বিশেষ করে এমএসএমই-র সংস্থাগুলির সঙ্গে যুক্তরা তাদের উৎপাদন শুরু করবে এবং শ্রমিকরা তাঁদের কাজে যোগ দেবেন। নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থা, অতিক্ষুদ্র ঋণদাতা ও বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসা – বাণিজ্যে কর ছাড়, ঠিকাদারদের এবং রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধে দেওয়া হচ্ছে।

গত ৫ বছর ধরে সরকার, শিল্পক্ষেত্র এবং এমএসএমই-র জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গৃহ নির্মাণ শিল্পের স্বচ্ছতা আনার জন্য রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট – রেরা ২০১৬ সালে কার্যকর হয়েছে। মধ্যবিত্তদের সুবিধের জন্য গত বছর একটি বিশেষ তহবিল গড়া হয়েছে। ২০১৭ সালে সমাধান পোর্টালের সূচনা করা হয়। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী দপ্তর, অথবা রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থাগুলি এমএসএমই গুলিকে প্রাপ্য অর্থ দেরিতে মেটানোর বিষয়গুলির নিষ্পত্তি করা হয়। এমএসএমই-র আরো ঋণের সুবিধের জন্য এসআইডিবিআই-র আওতায় একটি তহবিল গড়া হয়েছে।

আজ যে ঘোষণাগুলি করা হয়েছে, সেগুলি হল –

১) অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) সহ ব্যবসা বাণিজ্যে আপৎকালীন কার্যকরী ৩ লক্ষ কোটি টাকার মূলধনের ব্যবস্থাঃ- 

ব্যবসা – বাণিজ্যে ছাড় দেওয়ার জন্য সহজ সুদের হারে মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে। এর জন্য ২৯শে ফেব্রুয়ারী ২০২০ -র হিসেব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির  অতিরিক্ত মোট মূলধনের ২০ শতাংশর সমপরিমাণ অংশ ঋণ দেওয়া হবে। যে সব শিল্প সংস্থার লেনদেনের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা এবং যাদের ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে, তারাই এই সুবিধা পাবেন। এর জন্য তাদের কোনো গ্যারান্টী লাগবে না। কেন্দ্র, ৪৫ শতাংশ এমএসএমই-কে  মূলধন বাবদ ৩ লক্ষ কোটি টাকা যোগান দেবে। এক্ষেত্রে সরকার-ই ১০০ শতাংশ গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে।

২) সংকটে থেকে এমএসএমই-গুলির জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণঃ- 

২ লক্ষ এমএসএমই, যারা অনুৎপাদক অথবা সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে, তাদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্ট ফর মাইক্রো এন্ড স্মল এন্টারপ্রাইজেসকে ৪০০০ কোটি টাকার সহায়তা সরকার দেবে। এই স্বল্প মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রে এমএসএমই গুলির প্রমোটারদের মোট অংশীদারিত্বের ১৫ শতাংশ, যা সর্বোচ্চ ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হবে౼ সেই পরিমাণ ঋণ ব্যাঙ্কগুলি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

৩) এমএসএমই-র তহবিলে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইক্যুইটি যোগান দেওয়াঃ- 

সরকার, ১০,০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করবে। যেখানে এমএসএমই গুলিকে সহায়তার জন্য ইক্যুইটি বাবদ ঋণের যোগান দেওয়া হবে। এই তহবিলটি ‘মা ও কন্যা সন্তান তহবিল’ ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে। যেখানে মূল সংস্থা  এবং তার অধীনস্থ সংস্থাগুলি ১ : ৪ হারে তহবিল পাবে। যার ফলে ইক্যুইটি বাবদ ৫০,০০০ কোটি টাকা অর্থের যোগান দেওয়া হবে।

৪) এমএসএমই-র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ সহ বেশকিছু পদক্ষেপঃ- 

এমএসএমই-র সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হবে। এখন থেকে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে নূন্যতম যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া সংস্থাগুলির উৎপাদনের বিষয়টিও যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি, নির্মাণ শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রকে পৃথকভাবে বিবেচনা করা হবে।

৫) এমএসএমই গুলির জন্য আরো কিছু ব্যবস্থাঃ-   

এমএসএমই গুলির উন্নয়নে বিভিন্ন বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর পরিবর্তে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে বাজারজাত করার সুবিধে প্রদান করা হবে। সরকার এবং কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়াত্ত্ব উদ্যোগগুলি থেকে এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান যাতে ৪৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রাপ্য অর্থ পায়  তা নিশ্চিত করা হবে।

৬) ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারী টেন্ডারে এখন আর বিদেশী সংস্থাগুলি অংশগ্রহণ করতে পারবে না౼ অর্থাৎ কোনো গ্লোবাল টেন্ডার, ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত কাজের জন্য ডাকা হবে নাঃ-

সরকারের সাধারণ আর্থিক নিয়মাবলীকে সংশোধন করা হবে। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ২০০ কোটি টাকার কম প্রকল্পের ক্ষেত্রে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা যাবে না।

৭) সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য জুন, জুলাই ও আগষ্ট ২০২০-র কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল (ইপিএফ)-এর থেকে আর্থিক সহায়তাঃ-

পিএমজিকেপি-র আওতায় ইপিএফ-এ জুন, জুলাই এবং আগষ্ট মাসে মালিক ও কর্মচারীর বেতনের যে ১২ শতাংশ অর্থ জমা দেবার সংস্থান রয়েছে, সেই অর্থ পুরোটাই কেন্দ্র দেবে। এর ফলে ৭২ লক্ষ ২২হাজার কর্মচারীর ২৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

৮) কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে আগামী ৩ মাস মালিক পক্ষ এবং কর্মচারীরা ইপিএফ বাবদ কম অর্থ জমা দেবেনঃ- 

আগামী ৩ মাস  স্ট্যাটুটারি পি এফ কনট্রিবিউশন বাবদ মালিক পক্ষ এবং কর্মচারীরা বর্তমান ১২ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ অর্থ জমা দেবে। এর ফলে প্রতি মাসে ২২৫০ কোটি টাকা মূলধনের যোগান হবে।

৯) নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি), গৃহঋণ দেওয়া সংস্থা (হাউজিং ফিন্যান্স কোম্পানি – এইচএফসি) এবং মাইক্রো ফিন্যান্স প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) গুলির জন্য ৩০,০০০ কোটি টাকার বিশেষ মূলধনের ব্যবস্থাঃ- 

সরকার, বিশেষ মূলধন প্রকল্পের আওতায় ৩০,০০০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে এই অর্থ পাওয়া যাবে। এনবিএফসি, এইচএফসি এবং এমএফআইগুলির ঋণপত্রের বাণিজ্যিক লেনদেন বিনিয়োগের অর্থ এই প্রকল্প থেকে পাওয়া যাবে। যেখানে কেন্দ্র, ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি প্রদান করবে।

১০) এন বিএফসি ও এমএফআইগুলির বাধ্যবাদকতার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের আংশিক ঋণ গ্যারান্টি প্রকল্পে ৪৫,০০০ কোটি টাকার সংস্থানঃ- 

বর্তমান আংশিক ঋণ গ্যারান্টি প্রকল্পটিকে আরো উজ্জীবিত করে তোলা হচ্ছে। এর ফলে এনবিএফসি, এইচএফসি এবং এমএফআই-এর ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়ানো হবে। কেন্দ্র, রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির স্যোভেরিন গ্যারান্টির প্রথম ২০ শতাংশ  ক্ষতিপূরণ করবে।

১১) ডিসকমগুলির জন্য ৯০,০০০ কোটি টাকার মূলধনের যোগানঃ-  

বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা౼ পাওয়ার ফিন্যান্স কর্পোরেশন এবং রুরাল ইলেক্টিফিকেশন কর্পোরেশন, ডিসকমে ২ কিস্তিতে মোট ৯০,০০০ কোটি টাকার যোগান দেবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্টন কোম্পানিগুলির বকেয়া অর্থ ডিসকম, এই তহবিল থেকে প্রদান করবে। কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা জেনকো, ডিসকমগুলিকে ছাড় দেবে। তবে, এক্ষেত্রে এই ছাড়ের সুযোগ যেন চূড়ান্ত পর্যায়ে গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারেন সেই  শর্তটি রাখা হবে।

১২) ঠিকাদারদের জন্য ছাড়ঃ- 

রেল, সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সময়সীমা আরো ৬ মাস বাড়ানো হবে। এর ফলে এই প্রকল্পগুলির চুক্তিতেও সেই অনুযায়ী পরিবর্তন করা হবে।

১৩) গৃহনির্মাণ প্রকল্প অর্থাৎ রিয়েল এস্টেট প্রোজেক্টগুলির জন্য বিশেষ ছাড়ঃ-   

রেরা আইনের আওতায় রাজ্য সরকারগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সংক্রান্ত ধারাটি প্রয়োগ করে। এক্ষেত্রে নিবন্ধীকৃত প্রকল্পগুলির শেষ  হবার সময়সীমা ৬ মাস পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবার জন্য বলা হয়েছে এবং পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে তা আরো ৩ মাস বাড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। রেরার আওতায় বিভিন্ন বিধিবদ্ধ সংস্থানগুলিরও এর ফলে পরিবর্তন ঘটানো যাবে।

১৪) ব্যবসা ক্ষেত্রে কর ছাড়ঃ- 

দাতব্য প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট নয় এরকম প্রতিষ্ঠানগুলি , যে সমস্ত পেশাদারদের বিভিন্ন সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে ও সমবায় সংস্থাগুলির বকেয়া আয়করের টাকা দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

১৫) কর ছাড়ের সুযোগঃ-  

•       ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষের বাকি সময়ের জন্য টিডিএস এবং টিসিএস-এর হার ২৫ শতাংশ কমানো হল।  টিডিএস, যাঁরা বেতনভোগী নন, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই পদক্ষেপের ফলে ৫০,০০০ কোটি টাকার মূলধনের যোগান হবে।

•       ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে আয়কর জমা দেবার তারিখ বাড়িয়ে ৩০শে নভেম্বর করা হয়েছে। একইভাবে কর হিসেব জমা দেবার তারিখও ৩১সে অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

•       ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ জমা না দিয়ে নির্ধারিত অর্থ ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়া যাবে।

Related posts

পবিত্র রমজান মাসে নামাজ এবং ইফতারের আয়োজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করুনঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুক্তার আব্বাস নাকভি

E Zero Point

লকডাউনে তৃণমূলের মেমারির ১৩ নং ওয়ার্ডে ৩৫০ দুঃস্থ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দান

E Zero Point

করোনা ধর্ম, বর্ণ, ভাষা দেখে না! সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

E Zero Point

মতামত দিন