দুর্গাচরণ ঘোষ
- এই সময়ে লাভে থাকা মিডিয়া ও দালালরাই এরপর বাকিদের বুঝিয়ে দেবে কেনো সামনের কয়েক বছরে আর চাকরিতে নিয়োগ সম্ভব নয়, দেশে কেন এখন কর্মসংস্থান এর সুযোগ কমে যাবে,এখন কিভাবে স্বনির্ভর হতে হবে বেকারদের ইত্যাদি!
তাই,আরো কিছুদিন অচলাবস্থায় উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি বন্ধ থাকলে তাদের বিপুল ক্ষতিপূরন মকুবের কূটনৈতিক খেলা সামলে বা তার অজুহাতেই আরো ছাঁটাই ও বেকারত্ব বাড়বেই..আর এসব ঠিকা নিয়ে মানুষকে বুঝিয়ে দেবে এই সময়ে লাভ করে নেওয়া কিছু দালাল ও মিডিয়াই! - এইভাবে দীর্ঘদিন জের টেনে টেনে সংখ্যা যোগ করে নিউজ ব্যবসার স্বার্থে লিংক দিয়ে গেলে দেখা যেতো দেশে এমন অনেক রোগ আগে থেকেই আছে যাতে যে সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সেই সংখ্যক মানুষ বর্তমানে গোটা দেশের জনসংখ্যা নয়!.এখানেই জীবাণু নিয়ে খবরাখবর ব্যবসায় মিডিয়ার ফোবিয়া মেকিং থিওরীর পাটিগনিতের জের টেনে যোগফলের কারসাজি; এর সাথেই আছে এই সুযোগে লুটে নেওয়া অন্য দালালদের স্বার্থও!
- সুবিধাজীবিরা বচন দেবেই,,ওদের ঘরে বসেই কয়েকগুণ বেড়েছে কামাই,,কিন্তু ডেইলি ইনকাম এর সুস্থ মানুষ গুলো অভাবে বা প্রতিবন্ধকতায় ভুগে চলছেই
- যদিও এতে 80% এর উপর ক্ষেত্রে মিনিমাম কোনো উপসর্গ নেই! 17 তেও নামমাত্র,তাই যাতে 100 তে 3 জন(যারা মূলত অন্যকোনো কঠিন রোগে অসুস্থ একমাত্র তারাই) ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেখানে সেই অসুস্থ 3 জনের জন্য 97 জন সুস্থ মানুষ নানান কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতায় অসুস্থ হয়ে শেষ হয়ে যাবে এটা কাম্য নয়,,দরকারে ওনারাই সতর্কতায় আলাদা থাকুক,জুতো আবিষ্কার এর গল্প প্রমান করে গেছে ধুলো ঢাকতে পৃথিবীকে চামড়া দিয়ে ঘেরা কাম্য নয়; নিজেরই পায়ে জুতো পড়তে হয়!
- এই কৃত্রিম অচলাবস্থার আসল উৎস হলো উপরওয়ালা দালালদের হিসাব-অডিট বহির্ভূত অনুদান তোলার মতো ভয়-আবেগের পরিবেশ ধরে রাখা,,ৃ আক্রান্তদের সংখ্যা নিয়েও বিভিন্ন রাজ্যভিত্তিক দালাল মিডিয়ার যোগসাজসে অকারণ অস্পৃশ্যতার ও একঘরে করার আতংকে উস্কানি চলছেই! কালিমালেপন ও জনজীবনে কূটনৈতিক হিংসাত্মক অচলাবস্থা বজায় রেখে চলছে রাজনৈতিক জমিদখলের অসুস্থ লড়াই!
- পাঁচটা হালকা ছোঁয়াচে সর্দিকাশি জ্বরের মতোই উপমহাদেশের আবহাওয়ায় জীবাণু কর্মক্ষমতায়;তবু অতিরঞ্জিত ও ভয়াবহ হিসাবে দেখিয়ে অডিটহীন অনুদানের টাকা জমিয়ে লুটপাট ও প্যানিক ছড়িয়ে brainwash করে তারা এই সময়ে চাইছে এই দিন যেন না শেষ হয়।
- কিছু মানুষ যারা বেতন একই পেয়ে চলেছেন তারাও চাইছেন এই অচলাবস্থার দিন বাড়ুক;কিন্তু সেই কালিদাসের মতোই গাছে বসে ভুল জায়গায় কোপ!যেকোনো সময়ে বলে দিলেই বেতন half বা সিকি!
কিছু দালালদের আপাত মাহিনা কমলেও হিসাবহীন দান-অনুদানের অভাব নেই!তাই কারো পৌষমাস;কারোর ব্রেইন-ওয়াশড; সৌজন্যে বখরার ভাগী মিডিয়া! - আপনার হাতে মিডিয়ার রিমোট আর ওদের হাতেই আপনার আবেগী মস্তিকের খোরাক !তাই তারা চাইছে আরও নানা রোগে বা দুর্ঘটনায় মানুষ হসপিটাল এলেই যেনো ওই রোগের নামেই লিস্টেড হয়!এতে লিংক ছড়িয়ে এই প্যানিক বিজনেস আরো ভালো চলে!
কিন্তু খেতে না পেয়ে বা পরে কি কাজ ফিরে পাবে সেই চিন্তায় ভেবে,সাপের কামড়ে/দুর্ঘটনায় হসপিটালে পৌঁছাতে না পেয়ে, প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাবে মানসিক হতাশায় মানুষ মরবে..নেতা, সুবিধাবাদী,পুঁজিপতি সব home service পেয়ে যাবে, দোকানদাররা তাদের বাড়িতে সব পৌঁছে দেবে! - যেদিন অচলাবস্থা চালু রেখে লুটপাট করে খাওয়ার দিন শেষ হয়ে সব স্বাভাবিক হবে সেদিন অনেকে শেষ হয়ে গেলেও যারা এসব নিয়ম চালু করেছেন তাদের অডিট বিহীন অনুদান হজম করে সঞ্চয় কয়েকগুণ বেড়ে যাবে!