প্রেরণা দে, মেমারিঃ মায়ের আঁচল কার না ভালো লাগে, সেই ছোট্ট থেকে আঁচলের তলায় মুখ ঢাকা হোক কিংবা খাওয়ার পর মুখ মোছা – আঁচল ছোট্ট বেলার এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল। ঠিক যেমন করোনার করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য, লকডাউনের বিধিনিষেধের জালে বন্দী হল মেমারি অসহায় পথবাসীরা, আর তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠল মেমারি শহরের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঁচল। ঠিক যেন সেই মায়ের আঁচল। টিম আঁচলের প্রত্যেক সদস্য মাতৃরুপে আগলে রাখলো অসহায়, দুঃস্থ পথবাসীদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, মেমারিতে করোনা ভীতির আবহে যেমন তাদের অন্নসেবা থেমে থাকেনি, ঠিক তেমনই আমফানের তান্ডবেও তার কান্ডারীর ন্যায় এগিয়ে চলেছে।
কেউ বা জন্মদিনের আনন্দভাগ করেছেন, কেউ বাবা-মায়ের স্মৃতিতে অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপ – সকলেই টিম আঁচলের চলার পথে সাথী হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই আজ ৬২ দিন পর্যন্ত তাদের সেবাব্রত- মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।
ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠ মাস রমজানও লকডাউনের শিকার। খুশির ঈদ – এখন সামাজিক দূরত্বে। অনেক দিন আনে দিন খায় মানুষ রমজানের ইফতার ঠিক মত করতে পারছে না, তাদের জন্যও আঁচলের ঝুলিতে ছিল এক মুঠো খুশি। গত তিন দিন ধরে প্রায় ২০০টি পরিবারের মধ্যে ইফতারী সামগ্রী তুলে দিল টিম আঁচল।
রোজদার মানুষের দোয়া ও অসহায় মানুষের আর্শীবাদ কে পাথেয় করে টিম আঁচল হয়ে উঠুক এক বটবৃক্ষ- এই প্রার্থণা করছেন সকল হৃদয়বান মানুষ একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।