স্টাফ রিপোর্টার, মেমারিঃ আমফানের তান্ডব লীলার প্রভাবে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা বাড়ীগুলো কোখাও ভেঙে পড়েছে আবার কোথাও চাল গেছে উড়ে। মেমারি-১ ব্লকের অন্তর্গত বাগিলা পঞ্চায়েতের গ্রাম্য এলাকায় বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেরই বাড়ীর চাল আমফানের ঝড়ে উড়ে গেছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বাগিলা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সদস্য এলাকার ত্রাণ কার্যে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন কিন্তু মেমারি-১ বিডিও অফিস থেকে তারা পর্যাপ্ত ত্রিপল হাতে পায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বাগিলা পঞ্চায়েতের সদস্য প্রলয় পাল। তিনি বলেন, যে প্রায় ২০০ বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত, আর বিডিও সাহেব আমাদের মাত্র ১২টি ত্রিপল পঞ্চায়েত প্রধান অরিন্দম ঘোষালের হাতে দিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের সেবা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং বিডিও সাহেবের অসহযোগিতা জন্য পঞ্চায়েত সদস্য থেকে পদত্যাগ করছি।
মেমারি-১ ব্লকের বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল জানান যে, তার কাছে যে পরিমাণ ত্রিপল এসেছে তা তিনি ১০টি পঞ্চায়েতে ভাগ করে দিয়েছেন। আগামীতে আরও ত্রিপল আসবে সেইসময় আবার সকলকে দেওয়া হবে। অসহযোগিতার অভিযোগ সত্য নয়, প্রশাসক হিসাবে তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন এবং পঞ্চায়েত সদস্য প্রলয় পালের সাথে কথা বলে সমস্য মিটিয়ে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে মেমারি বিধানসভার বিধায়িকা নার্গিস বেগম জানান যে, তিনি বিডিও কে বলেছেন উপভোক্তাদের তালিকা করে পর্যাপ্ত ত্রিপলের ব্যবস্থা করতে।
মেমারি-১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ ব্যানার্জী জানান যে, বাগিলা পঞ্চায়েতের সদস্য ও কর্মঠ যুবক প্রলয় পাল লকডাউনের সময় পরীযায়ী শ্রমিকের বাগিলা ক্যাম্পের সময় থেকে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। বিডিও ও তার মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা খুব শীঘ্রই মিটে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন।