30/10/2024 : 3:31 AM
আমার দেশ

কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে ক্রমপর্যায়ে সব কাজকর্ম আবার শুরু হবেঃ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নতুন নির্দেশাবলী

➢ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আজ নতুন যে নির্দেশিকা জারি করেছে, সেই অনুসারে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে ক্রমপর্যায়ে সব কাজকর্ম আবার শুরু হবে।
➢ এই নির্দেশাবলী পয়লা জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। প্রথম পর্বে (আনলক ১) আর্থিক দিক বিবেচনা করে বর্তমান পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আবারও খোলা হবে।
➢ ২৪শে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে দেশ জুড়ে কঠোরভাবে লকডাউন জারি করা হয়। সেই সময় অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলিকেই শুধুমাত্র  ছাড় দেওয়া হয়েছিল। বাকি সমস্ত কাজকর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
➢ পরবর্তী পর্বে পর্যায়ক্রমে কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণের ব্যাপ্তি বিবেচনা করে লকডাউনের নিয়মকানুন শিথিল করা হয়।
➢ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার ভিত্তিতে আজ নতুন নির্দেশাবলী জারি করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশাবলীর প্রধান বৈশিষ্ট্য

➢ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শক্রমে কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে সমস্ত কাজকর্ম (যেগুলি আগে নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল) পর্যায়ক্রমে সাধারন পরিচালন পদ্ধতি অনুসারে শুরু করা যাবে :
◆ প্রথম পর্যায়ে ধর্মীয় স্থানগুলি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ৮ই জুন থেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ, অন্যান্য পরিষেবা এবং শপিং মলগুলিকে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ প্রতিহত করতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে আলোচনার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে সাধারন পরিচালন পদ্ধতি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর౼ এসওপি) জারি করবে।
◆ দ্বিতীয় পর্যায়ে স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে খোলা হবে। রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার পর যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে জুলাই মাসে এই প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিষয়ে এসওপি তৈরি করবে।
◆ দেশ জুড়ে সীমিত কিছু কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এগুলি হল : আন্তর্জাতিক বিমানে যাত্রী পরিবহণ; মেট্রো রেল চলাচল; সিনেমা হল, জিমনাসিয়াম, স্যুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটরিয়াম, বিভিন্ন জমায়েতের স্থল; সামাজিক/রাজনৈতিক/ক্রীড়া/বিনোদন/শিক্ষা/সংস্কৃতি/ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য বড় জমায়েত।
◆ তৃতীয় পর্যায়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এগুলি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

➢ কন্টেনমেন্ট এলাকায় লকডাউনের নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশাবলী বিবেচনা করে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করবে। কন্টেনমেন্ট এলাকায় সবকিছু কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক পরিষেবাকেই ছাড় দেওয়া হবে।

 

যাত্রী ও পণ্য পরিবহণের অবাধ চলাচল

➢ রাজ্যের মধ্যে এবং এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে কোন বিধিনিষেধ থাকবে না। এই ধরনের পরিবহণের ক্ষেত্রে পৃথক কোন অনুমতি/ই-পারমিটের প্রয়োজন হবে না।
➢ তবে, কোন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিস্থিতি বিবেচনা করে, জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে যাত্রী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ ও নিয়মাবলীর বিষয়ে আগে থেকে বিস্তারিতভাবে প্রচার চালাতে হবে।

 

রাত্রিকালীন কারফিউ

➢ অত্যাবশ্যক নয়, এরকম কাজকর্মের ক্ষেত্রে ব্যক্তিবিশেষের চলাচলের ওপর রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে। তবে, এই কারফিউ-এর সময় পরিবর্তিত হয়ে রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত হবে।

কোভিড-১৯-এর ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় নির্দেশাবলী

➢ শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশ জুড়ে কোভিড-১৯-এর ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় নির্দেশাবলী জারি থাকবে।

কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে কি কি কাজকর্ম হবে, রাজ্যগুলি তা নির্ধারণ করবে
➢ পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কন্টেনমেন্ট এলাকার বাইরে কোনো কোনো কাজকর্মে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে অথবা প্রয়োজন দেখা দিলে সেই সব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।

 

সংক্রমিত হতে পারেন, এমন মানুষের জন্য সুরক্ষা

➢ ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স, যাঁরা জটিল রোগে আক্রান্ত, গর্ভবতী মহিলা এবং ১০ বছরের কম বয়সী শিশু ౼ এই ধরনের মানুষদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আরোগ্য সেতুর ব্যবহার
➢ কেউ কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হলে তার দ্রুত শনাক্তকরণ, কোন জায়গায় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকলে তা জানাতে কেন্দ্র ‘আরোগ্য সেতু’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মতো একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে ౼ যার মাধ্যমে ব্যক্তিবিশেষ ও সম্প্রদায়কে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করার জন্য সকলকে উৎসাহিত করছে।

মন্ত্রকের এই সংক্রান্ত নির্দেশাবলী দেখতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ-
http://164.100.117.97/WriteReadData/userfiles/MHA%20Order%20Dt.%2030.5.2020%20with%20guidelines%20on%20extension%20of%20LD%20in%20Containment%20Zones%20and%20phased%20reopening.pdf

 

Related posts

সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী সতর্কতা সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন

E Zero Point

আগষ্ট মাসে জিএসটি বাবদ মোট রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ৮৬,৪৪৯কোটি টাকা

E Zero Point

জেল হেফাজতে থাকা  সায়গল কে ইডির  জেরা করা নিয়ে আজ দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি 

E Zero Point

মতামত দিন