আলেক শেখঃ লকডাউনে কালনার কামারশালা ও ছুরি কাঁচির দোকানদারদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে | কামারশালাগুলোতে কিছু কিছু খরিদ্দার এলেও তাদের কাজের সরঞ্জাম কয়লা, ঘষা ফাইলের সরবরাহ নেই | ফলে তাঁরা কামারশালা খুলেও কোন কাজ করতে পারেননি | আর ছুরি- কাঁচির শান দেওয়ার দোকানগুলোকে খুলতেই হয়নি | কারন তাঁদের কাজের উৎস তো সেলুনগুলো | লকডাউনের আইন সেলুনগুলোর ক্ষেত্রে ছিল কঠোর | তাই একদিকে যেমন মার খেয়েছে সেলুন মালিকরা তেমনি পাশাপাশি কাজের কোন বরাত নেই ছুরি-কাঁচির শান দেওয়ার দোকানগুলোতেও | এই দুইয়ের প্রভাব পড়েছে সমাজের অন্যান্য মানুষের উপরও | এখন চলছে ধান কাটার মরসুম–কৃষকদের কাস্তেতে শান দেওয়ার প্রয়োজন | কিন্তু কৃষকরা কামারশালাগুলোতে কাজ নিয়ে গিয়েও বারে বারে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে | সোমবার থেকে সব দোকানই প্রায় খুলে গেছে | কিন্তু নিভুজিবাজারের স্বপন কর্মকার বলেন– কয়লা ও ঘষা ফাইল বাজারে সরবরাহ শুরু না হলে আমাদের দোকান খুলে কোন লাভ নেই | কালনা শহরে হাতে গুনে চারটে শান দেওয়ার দোকান আছে তাঁদেরও কাজকর্ম লাটে উঠেছে | একদমই কাজ নেই | সেলুন বন্ধ থাকায় বহু সাধারণ মানুষরাও অসুবিধায় পড়েছিলেন | চুলদারী গজিয়ে অনেকেরই সাধু- সন্ন্যাসীর রূপ ধারণ করেছেন | কেউ কেউ বাড়িতেই নিজে নিজে চুল কাটতে গিয়ে নিজেকে বেঢপ বানিয়ে ফেলেছেন | যাইহোক সোমবার থেকে প্রায় সব দোকানই খুলে গেছে | পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে আরো সময় লাগবে বলেই মানুষ মনে করেন |