বিশেষ প্রতিনিধি, দিল্লিঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আজকের বৈঠকে কলকাতা বন্দরের নাম পরিবর্তন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর নামকরণের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে।
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের বোর্ড অফ্ ট্রাস্টিজ গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি এই বন্দরের নাম পরিবর্তন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর করার প্রস্তাব অনুমোদন করে। বিশিষ্ট আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ এবং জননেতা শ্রী মুখার্জী বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
কলকাতা বন্দরের সার্ধ শতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১২ই জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাবাবেগের বিষয়টি বিবেচনা করে এই বন্দরের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করা হয়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন জাতীয় একতা, বাংলার উন্নয়ন, শিল্পায়ন এবং এক দেশ এক বিচার ব্যবস্থার কট্টর সমর্থক।
পশ্চাদপটঃ দেশে কলকাতা বন্দরই একমাত্র বৃহৎ নদী বন্দর। ১৮৭০ সালে ১৭ই অক্টোবর একটি ট্রাস্ট এই বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। ১৫০ বছরের ইতিহাসে ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির প্রবেশ দ্বার হিসেবে কলকাতা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পূর্ব ভারত সহ সারা দেশের সামাজিক ও সংস্কৃতিক পরিবর্তনের সাক্ষী এই বন্দর।
সাধারণত, ভারতের প্রধান প্রধান বন্দরগুলি যে শহরে সেগুলি অবস্থিত, সেই শহরের নাম অনুসারে হয়ে থাকে। তবে, বিশিষ্ট নেতাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো বন্দরের নাম এই সব নেতাদের নাম অনুসারে করা হয়। ১৯৮৯ সালে সরকার নব সেবা পোর্ট ট্রাস্টের নাম জওহরলাল নেহেরু পোর্ট ট্রাস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ২০১১ সালে তুতিকোরিন পোর্ট ট্রাস্টের নামকরণ করা হয়েছিল ভি.ও চিদামবরানার পোর্ট ট্রাস্ট। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী শ্রী কে. কামরাজার-এর নাম অনুসারে এন্নোর পোর্ট লিমিটেডের নাম দেওয়া হয় কামরাজার পোর্ট লিমিটেড। সম্প্রতি ২০১৭ সালে, কান্দলা বন্দরের নামকরণ করা হয়েছে দীনদয়াল বন্দর। ভারতে অনেক জাতীয় নেতার নাম অনুসারে বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে।