আলেক শেখ, কালনা, ১৭ জুনঃ রামায়নে গন্ডিকে অগ্রাহ্য করে সীতার কি পরিণতি হয়েছিল, তা সকলেরই জানা। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের রাস্তা-ঘাট খুঁড়ে একটি গ্রামের সমস্ত বাসিন্দাদের গৃহবন্দি করে রাখাকে অগ্রাহ্য করলে কি পরিণতি হবে তা কেউ জানে না। এমনি গৃহবন্দির ঘটনা ঘটেছে কালনা- ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোয়ালডাঙ্গা গ্রামে। মাস দেড়েক আগে এই গ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর জলের পাইপলাইন বসানোর জন্য রাস্তায় ব্যাপক খননকার্য চালায়। পাইপ বসানোর কাজ শেষ করে হাত গুটিয়ে নেয়। তারপর আমফান, কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টিতে রাস্তার চরম বেহাল অবস্থা। এই অবস্থায় এই গ্রামের বাসিন্দারা একরকম ঘরবন্দি। গ্রামবাসীদের আবেদন নিবেদনে সারা দিয়েছে– জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও স্থানীয় হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতও। তবে সেটা আশ্বাস ছাড়া কিছু নয় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। খুব সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা গ্রামে এসে বলে গেছেন আমরা রাস্তা মেরামত করে দেবো, তবে বৃষ্টির জল বন্ধ নাহলে হবে না। এমনিতেই বর্ষাকাল ছাড়াই বৃষ্টি হচ্ছে, তার উপর বর্ষাকাল এসে যাওয়ায় বৃষ্টির জল বন্ধ হওয়ার কোন আশা নেই বলেই মনে করেন গ্রামবাসীরা। তাই লকডাউনের মতো তাঁদের কপালে গৃহবন্দির মেয়াদও নিশ্চিত বাড়ছে। স্থানীয় হাটকালনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভ্র মজুমদার ওই গ্রামের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান– ওই গ্রামের রাস্তা আমাদের সামনের প্লানে ধরা আছে।