আলেক শেখঃ এস টি কে কে সড়ক নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পূর্বস্থলী- ১ নং ব্লকের সভাকক্ষে। এই সভায় অংশগ্রহন করেন– কালনা মহকুমা শাসক সুমন সৌরভ মহান্তি, বিডিও নীতিশ বালা, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারবৃন্দ। সভা শেষে মহকুমা শাসক বলেন– সড়কের খানাখন্দ, গর্ত দ্রুত ভরাট করা হবে এবং রাস্তার পাশ দিয়ে নিকাশি ব্যবস্থা করা হবে যাতে জল বেরিয়ে যেতে পারে। রাস্তার ধারে সাধারণ মানুষের জমিয়ে রাখা বালি, পাথর সব সরিয়ে ফেলা হবে। তিনি আরো বলেন, কালনা ১ ও ২ নম্বর ব্লক এবং পূর্বস্থলী ১ ও ২ নং ব্লকে পৃথক ভাবে কাজ করা হবে। যাতে আগামী ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা যায় সেদিকে নজর রাখা হবে। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি কালনা মহাকুমা শাসক দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সভায় পি ডব্লিউ ডি (সড়ক) এর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ঘোষণা করেন—-দেড় বছরের মধ্যেই এস টি কে কে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হবে। গুপ্তিপাড়া থেকে ছাতনী ৫৫ কিমি সড়ক সম্প্রসারনের জন্য বরাদ্দ ১৭৫ কোটি টাকা। এই কাজে সময় দেওয়া হয়েছে দুই বছর, তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ছয় মাসের কাজ হয়েছে। আর দের বছরের মধ্যেই বাকি কাজটি শেষ হবে। সড়কটি সর্বত্র চওড়া হবে ১০ মিটার। তিনি সেদিন আরো তখন ঘোষণা করেন — সড়কের যেখানে খানাখন্দ আছে তা সাত দিনের মধ্যে মেরামত করে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই ঘোষণা মত কিছুই কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। কারন এই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ প্রথম শুরু হওয়ার পর পাথর-বালির ধুলোতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল । ফলে বারে বারে বিভিন্ন জায়গায় হয়েছিল সড়ক অবরোধ। অবরোধ তোলার জন্য প্রশাসন দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দিতে হয়েছিল । গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত লকডাউনের কারনে গত ২৫ শে মার্চ এস টি কে কে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে এই সড়ক মানুষের জন্য ভয়াবহ হয়ে ওঠে । সেই ভয়াবহতা আজও কাটিয়ে উঠা যায়নি। যদিও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আবার শুরু হয়েছে। কিন্তু তার গতি খুবই শ্লথ বলে অভিযোগ। ফলে প্রশাসনের উপর চাপ বাড়তেই এস টি কে কে সড়ক নিয়ে এই পর্যালোচনা সভা। এই পর্যালোচনা সভা কতটা সার্থক হয়ে উঠলো তা বোঝা বা জানার জন্য ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে মানুষকে।