আলেক শেখঃ উৎপাদিত বস্ত্রের বিক্রি নেই অজুহাতে পূর্বস্থলীর তাঁত কারখানাগুলি বন্ধ করে দিলেন মালিকরা। ফলে নতুন করে আবার বিপাকে পড়ে গেলেন চার হাজার শ্রমিক। গত ১৯ শে জুন লাগাতার সংগঠিত আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোন রকমই মজুরি না কমানোর দাবি আদায় করেন পূর্বস্থলীর চার হাজার তাঁত শ্রমিক। ওইদিন পূর্বস্থলী-১ বিডিও দপ্তরে অনুষ্ঠিত ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেছিলেন সমস্ত কারখানার মালিকরা। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে লকডাউনের অজুহাতে জুন মাসের প্রথম দিকে শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে দেন মালিকরা। তারই প্রতিবাদে সিআইটিইউ অনুমোদিত পূর্ব বর্ধমান জেলা তাঁত শ্রমিক ইউনিয়নের পতাকা নিয়ে লাগাতার আন্দোলনা নামেন শ্রমিকরা। শেষে সেই আন্দোলনে জয় মেলে গত ১৯ শে জুন। আগের মজুরিই শ্রমিকদের দেওয়া হবে বলে পূর্বস্থলী-১ বিডিও-র সামনে কারখানা মালিকরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করে দেন। কিন্তু তার মাত্র ১০ দিন পর আবার নতুন অজুহাতে কারখানাগুলো বন্ধ করে দিলেন মালিকরা। এর বিরুদ্ধে শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে মালিকদের এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সিআইটিইউ-এর পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক সুকান্ত কোনার বলেন–মালিকদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা শ্রমিকদের আন্দোলন সংগ্রামের পাশেই থাকবো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরের পোস্ট